কলকাতা, ১৭ জুন: শহরে সিইএসসি-র (CESC) বিদ্যুতের বিলে (Electric Bill) নাজেহাল সাধারণ মানুষ। চলতি মাসে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জির (Sobhandeb Chatterjee) বাড়িতে যে বিল আসে, তাতে হতভম্ব খোদ মন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে ইলেকট্রিক বিল আসে গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। তবে এবার একধাক্কায় সেই বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার টাকা। শুধু বিদ্যুৎমন্ত্রীই নন, এই অভিযোগ করেছেন সাধারণ নাগরিকও।
মন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন এই প্রসঙ্গে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। বলেছেন, “রোজ প্রচুর অভিযোগ পাচ্ছি। যে সমস্ত উপভোক্তারা এই সমস্যায় পড়েছেন, তাঁরা আমাকে জানান। আমি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি না যে CESC’র মতো পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান আমফানে তাদের ক্ষতির মোকাবিলা করতে গিয়ে গ্রাহকদের বিলের বোঝা বাড়াবে!” আরও পড়ুন, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৬৯০ জন, মৃত্যু ২৩ জনের
গ্রাহকদের অভিযোগ, লকডাউনের মাঝে প্রত্যেক CESC গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল এসেছে তিন থেকে চারগুণ বেশি। যাঁর বাড়িতে বিল আসতো ৬ হাজার, সাত হাজার, তাঁর এ মাসের বিল ২২,০০০ টাকা। এত বিল আসার কারণ কী? উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না উপভোক্তারা। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হন অনেকে।উপরন্তু বাড়তি বিল নিয়ে CESC দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না! এই অবস্থায় শহরবাসী দ্বারস্থ হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে, কিন্তু কোথায় কী, খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীই তো বিল বিভ্রাটের শিকার।
করোনায় লকডাউনের ফলে পূর্ব বিল অনুযায়ী বিল পাঠিয়েছে সিইএসসি। কিন্তু লকডাউন শিথিল হওয়ার পর কর্মীরা বাড়ির বাড়ি গিয়ে বিল দেখে আসে। তারপর এমাসের বিলে বিস্তর ফারাক লক্ষ করে নগরবাসী। আম্ফাণের ফলে এমনিতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে ক্ষুব্ধ আমি জনতা। এরপর পর্বতপ্রমাণ বিল পাঠানোয় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। লকডাউনের জেরে অনেকেই রোজগারহীন হয়েছেন, কাজ খুঁইয়েছেন, কেউ বা আবার পুরো মাসমাইনেও পাচ্ছেন না। আর এমন একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কিনা এত টাকা বিদ্যুৎ বিল মেটাতে হবে! ভেবেই কূল পাচ্ছেন না কলকাতার আমজনতা।