শিলিগুড়ি, ২০ ফেব্রুয়ারি: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM) নেতা বিমল গুরুংয়ের (Bimal Gurung) বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন। দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পঙে থাকা ৭০টিরও বেশি মামলা প্রত্যাহার করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করার জন্য জেলা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারের আইন দফতর।
UAPA এবং খুনের মামলাগুলি বাদে অন্য মামলা প্রত্যহারের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও এবিষয়ে মুখ খোলেননি গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা রোশন গিরি। নির্বাচনের আগে গুরুংকে মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও সিপিএম। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আইন দফতর বিষয়টা দেখছে, আমার কিছু বলার নেই।’ এদিকে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, ‘ভোটের মুখে অনেককিছু দেখা যাবে...পাহাড়-সমতলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।’
গত ২০১৭ সালের ৮ জুন মাসে, দার্জিলিঙে মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। যার জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে পাহাডড়ে। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। মাসের পর মাস বনধে থমকে যায় পাহাড়ের যাবতীয় কাজকর্ম। এ
সেই সময় পাহাড়ে অশান্তির ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়। ২০১৭ সালের ১৭ জুন সিংমারিতে সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাতেও বিমল গুরুং ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। সেবছরই ১৩ অক্টোবর গুরুংকে ধরতে গিয়ে খুন হন সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক। সেই মামলাতেও অভিযুক্ত বিমল গুরুং।
র মধ্যে পাহাড় থেকে উধাও হয়ে যান বিমল গুরুং। তারপর বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে তৃণমূলের হাত ধরে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেন গুরুং।