(Photo Credits: Youtube, Wikimedia Commons)

কলকাতা, ৩১ মার্চ: প্রতিদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্যালন গ্যালন দুধ (Milk)। এই 'সুষম আহার' নষ্ট হওয়া রুখতে এবং নিরামিষাশীদের কাছে পনিরের মতো ছানার জিনিস পৌঁছে দিতে প্রতিদিন চারঘণ্টার জন্য মিষ্টির দোকান (Sweet Shops) খোলা রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। লকডাউনে খোলা যাবে মিষ্টির দোকান৷ নির্দিষ্ট সময় বেলা ১২ থেকে বিকেল ৪ টা। সেই কথা মেনে খুলছে কিছু দোকান৷ কিন্তু অনেক মিষ্টির ব্যবসায়ী আবার দোকান খোলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ লকডাউনে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় ভীষণভাবে মার খাচ্ছিল দুধের ব্যবসা৷ বিক্রি না হওয়ায় গ্যালন গ্যালন দুধ ফেলে দিতে হয়েছিল বিক্রেতাকে৷

অন্যদিকে ভীম চন্দ্র নাগের পক্ষ থেকে প্রদীপ নাগ দোকান খোলার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলছেন যে করোনার আতঙ্কে কারিগরেরা সবাই নিজের বাড়ি চলে গিয়েছেন৷ আপাতত তাদের ফিরে আসাও মুশকিল৷ সময় বেঁধে দেওয়া নিয়েও তিনি ধন্দ্বে৷ কারণ এই কম সময় কতটাই বা বিক্রি হবে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ তিনি আরও জানান যে রাস্তার ওপরে তাদের দোকান হওয়াতে বহু মানুষ গাড়িতে এসে মিষ্টি কিনে নিয়ে যান৷ ক্রেতারা সেভাবে আসতে পারেন না ভেবেই আপাতত বৌবাজের ভীম নাগের দোকন বন্ধই রাখার সিদ্ধান্ত নিওয়া হয়েছে৷ আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় নেই যথাযথ ব্যবস্থা, তিন জেলাশাসককে ধমক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির

কিন্তু অনেক ময়রাই কদিনের লকডাউনে যে যার দেশের বাড়ি ফিরে গেছে। তাই অনেক দোকানই খোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শহরের বড় মিষ্টির দোকানগুলি জানিয়েছে- রাধারমণ মল্লিক ও বলরাম মল্লিক আপাতত তাদের তিনটি ব্রাঞ্চ খোলা হবে৷ ভবানীপুর, লেক গার্ডেন্স এবং কসবায় তিনটি দোকান খুলবেন তারা ৷ সেখানে নির্দিষ্ট কিছু মিষ্টিই পাওয়া যাবে৷ সঙ্গে পাওয়া যাবে ছানা, পনির৷ সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই তাদের এই সিদ্ধান্ত৷

করোনা মোকাবিলায় স্যানিটাইজার সঙ্গে কতটা দূরে দূরে দাঁড়িয়ে মিষ্টি কিনতে পারবেন ক্রেতারা, সেই জাগয়াও চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিক্রি করার জন্য দোকানে লোকও থাকবে হাতে গোনা৷ তবে আশঙ্কা সময় বেঁধে দেওয়ার ফলে ভিড় বাড়তে পারে৷