কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি: ফের কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। তিনি বলেন, কৃষকরে স্বার্থে, কৃষক পরিবারের স্বার্থে ভারত সরকারের উচিত এই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া। সুপ্রিম কোর্টের রায় মাথায় রেখে আমরা এটাই মনে করি। এই আইন, কৃষি ও কৃষক বিরোধী। এটাও জনবিরোধীও। তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অত্যাবশকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মজুতদারের হাতকে শক্ত করা হয়েছে। এতে ক্রেতাদের অসুবিধা হচ্ছে। এটা জনবিরোধী বিল কোনও কেন্দ্রীয় সরকার আনতে পারে তা আমরা ভাবতেই পারি না।
তিনি বলেন, "স্বামীনাথন কমিশনের অনেক সুপারিশ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস সহ অনেক বিষয় মাথায় না রেখে বিল করা হয়েছে। সরকারের কাছে আলোচনা করাটাই বৃথা। কারণ বিল অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আসছে। এটা অগণতান্ত্রিক। এই সরকার অগণতান্ত্রিক। এই সরকার জনবিরোধী। দ্বিতীয় আইনে কৃষককে পুঁজিপতিদের সঙ্গে আঁতাত করার কথা বলা হচ্ছে। গায়ের জোরে সব করা হচ্ছে। নীল চাষের সঙ্গে তুলনা করা যায়। পুঁজিপতির স্বার্থে কাজ করছে এই সরকার। এপিএমসি সিস্টেমকে বাইপাস করে পুঁজিপতিরা ফসল কিনতে পারবে। তবে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষক কিছুই পাবে না। বলছে কৃষক কোর্টে যেতে পারবে। কৃষক আইনি লড়াই করতে পারবেন না, কৃষক বিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গায়ের জোরে আইন পাস করাচ্ছে। আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আমরা বিরোধিতা করেছি।" আরও পড়ুন: Baghbazar Fire Updates: বাগবাজারের ভয়াবহ আগুন কাড়ল ৭০০ বাসিন্দার আশ্রয়, ক্ষতিগ্রস্ত বিবেকানন্দের উদ্বোধনী পত্রিকার অফিস
তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, রাজ্যের অধিকার খর্ব করতেই এসব করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের পাশে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করতে গেলে যা যা করা উচিত তা করা হচ্ছে। চিন্তাশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অভাব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে। তাদের দায়ভার কৃষকদের প্রতি নয়, কয়েকজন পুঁজিপতির কাছে। তারাই আইন তৈরি করছে। গায়ের জোরে চাপিয়ে দেওয়ার নীতির বিরোধী। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।