কলকাতা, ১ জুন: মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্চের শেষে দিকে আচমকাই উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় সেই সমস্যাটা আর পোহাতে হয়নি। এদিকে লকডাউনের পর দেখতে দেখতে জুন মাস চলে এল। এখনও মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়নি। অবশ্যই সৌজন্যে কোভিড-১৯। এদিকে যতদূর শোনা যাচ্ছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, দূরত্ব বিধি মেনে আগামী জুলাইতেই রাজ্যের স্কুলের দরজা খুলবে। তবে একেবারে প্রথমে ক্লাস শুরু হবে নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ক্লাস কী করে শুরু হবে, এখনও মাধ্যমিকের ফলাফলই প্রকাশ হল না। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত খাতা দেখে তা জমা করার নির্দেশ দিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
উল্লেখ্য, এই মর্মে রবিবার পর্ষদের তরফে কঠোর নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। মাধ্যমিকের খাতা জমা দেওয়া নেওয়ার কাজে যুক্ত কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকদের মধ্যে তুমুল অশান্তি। কেউ কেউ পকেট থেকে হাজার হাজার টাকা বাড়তি খরচ করে খাতার বান্ডিল নিয়ে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে আসবেন বলে জানিয়েছেন। অনেকে পাড়ার লোকজন বা আবাসনের বাসিন্দারা বাধা দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ পর্ষদকে প্রস্তাব দিয়েছে, কলকাতা-সহ জেলায় একটি জায়গা নির্দিষ্ট করা হোক। প্রশাসনিক সাহায্য নিয়ে গাড়ি পাঠিয়ে সেই জায়গায় উত্তরপত্রগুলি দেওয়া-নেওয়া হোক। আরও পড়ুন-Indian Railways: কাল থেকে দেশজুড়ে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা, হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে ৮ জোড়া ট্রেন
চলতি বছরে ১০ লক্ষেরও বেশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ফল প্রকাশের অপেক্ষায়। স্থগিত থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে ৬ জুলাই। তার অন্তত ১৫ দিন আগে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হবে। প্রধান পরীক্ষকদের বলা হয়েছে তাঁরাও যেন খাতা পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর্ষদের আঞ্চলিক অফিস অথবা কলকাতার সদর দপ্তরে এসে নম্বর জানিয়ে দেন। পর্ষদের নির্দেশে আতান্তরে পড়েছেন পরীক্ষকরা। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির বক্তব্য, কিছু জায়গায় এখনও রেড জোন আছে। লকডাউন পুরোপুরি ওঠেনি। পর্ষদ এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত না নিলেও পারত।সবার গাড়ি বা মোটর বাইক নেই। দূরের শিক্ষকরা কি করে খাতা জমা করবেন?