আজ বিশ্বকর্মা পুজো,পুরাণ মতে বিশ্বকর্মাকে স্থাপত্য ও শিল্পের সৃষ্টিকর্তা দেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই রাজ্য জুড়ে কলকারখানা সহ নানা প্রতিষ্ঠানে যন্ত্র তথা শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল থেকেই বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপ গুলি আলোর মালায় সেজে উঠেছে। বৃষ্টির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজ্য জুড়ে যন্ত্র তথা শিল্পের দেবতার পূজোর আয়োজন করা হয়েছে।

ভাদ্র মাসের শেষ দিনটিতে বিশ্বকর্মা পুজো সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ রাজ্য ছাড়াও অসম ,ত্রিপুরা সহ অন্যান্য রাজ্যেও বিশ্বকর্মা পুজো উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে।কচিকাচাদের কাছে বিশ্বকর্মা পূজোর অন্যতম আকর্ষণ ঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে সকাল থেকেই আকাশে দেখা মিলেছে রংবেরঙের নানান ঘুড়ি। কচিকাচাদের পাশাপাশি বড়দেরও দেখা যায় ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দে শামিল হতে। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এবার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে।

ভাদ্র মাসের শেষ দিনে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর পাশাপাশি বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে ‘অরন্ধন’। গতকাল এর অঙ্গ হিসেবে আয়োজন করা হয় রান্না পুজোর। মূলতঃ মা মনসাকে উৎসর্গ করে সংক্রান্তির আগের দিন রাতভ’র চলে বিভিন্ন পদের আমিষ-নিরামিষ রান্না।

বাংলার শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত নদীয়ার কল্যাণী, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, আসানসোল সহ বিভিন্ন জায়গায় পুজোর উন্মাদনা তুঙ্গে।যন্ত্রের দেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনায় মেতেছে নদীয়ার কল্যাণীর শিল্পাঞ্চলও। বিভিন্ন কলকারখানা সহ বেশ কিছু স্থানে ধুমধামের সহিত বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সেই অতীতের ঐতিহ্যময় পূজোর জাঁকজমক এখন অনেকটাই ম্লান । আগে বহু বড় বড় বাজেটের পুজো কল্যাণীতে হতো। ছোট বড় মিলিয়ে সেই সময় অন্তত ৫০০ কলকারখানা চলতো। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ মিলিত হতেন। ঐতিহ্যময় অতীতের পুজোর জৌলুসে আজ অনেকটায় ভাটা পড়েছে।তবে শিল্পাঞ্চলের মানুষজন আজও মুখিয়ে থাকে এ দিনটির জন্য।