কলকাতা, ২৩ জুলাই: রাজ্য রাজনীতিতে সেই সময়ের বিরোধীদের কঠিন সময়ে বেশ কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কর্পোরেট জগতে মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সময় কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে মমতার পাশে দাঁড়ানোর মানুষ কম ছিলেন। তখন থেকে মমতার একেবারে ঘনিষ্ঠ বৃত্তে পার্থ। এরপর তাঁকে বেহালার দায়িত্ব নেন মমতা। যে বেহালা তখন বাম দুর্গ। রবীন মুখোপাধ্যায় থেকে নির্মল মুখোপাধ্যায়, বেহালা তখন বাম দুর্গ, বিরোধীদের শিবরাত্রির সলতে। ২০০১ বিধানসভায় বেহাল পশ্চিম থেকে প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করেন পার্থ। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে বামেদের হেভিওয়েট প্রার্থী নির্মল মুখোপাধ্যাকে হারিয়ে প্রথমবার বিধায়ক হন তিনি।
এরপর বেহালার সঙ্গে নিজের যোগ আরও বাড়ান। হাওয়া নয়, জোর দেন দলীয় সংগঠন বাড়ানোয়। বেহালার সঙ্গে যোগ বাড়িয়েই এখন তিনি অপরাজেয়। ২০০১ থেকে ২০২১, টানা পাঁচটা বিধানসভা ভোটে অনায়াসে জিতেছেন পার্থ। গতবার বিজেপি-র তারকা প্রার্থী নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে হারান সাড়ে ৫০ হাজারের ভোটের ব্যবধানে। আরও পড়ুন-এসএসসি নিয়োগ তদন্ত মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি, আটক অর্পিতা
২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় তাঁকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে এসেছেন। শিক্ষা, শিল্পের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেখছেন পার্থ। বিরোধী থাকা অবস্থায় তাঁর কথা, লড়াকু রাজনীতির মানসিকতা, সবার সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁকে অনেকটা দূর নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠের অনেকেই বলেন, শাসক হওয়ার পর মন্ত্রী হয়ে পার্থর সেই আগের ঝাঁঝটা ছিল না। আপোস করতে শুরু করেছিলেন বেশ কিছু বিষয়ে। তাঁর আমলেই এসএসিতে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। শিল্পমন্ত্রী হিসেবেও তিনি দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেননি। পার্থ-র সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। এসএসসি নিয়োগ তদন্ত মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করার পর কীভাবে তিনি ফিরে আসেন সেটাই দেখার।