মদন মিত্র (Photo: Facebook)

কলকাতা, ২ জানুয়ারি: নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দলবদলের হিড়িক ততই বাড়ছে। শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর চর্চা আরও তুঙ্গে। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। তিনি জানান, যে কেউ চলে যেতে চাইলে তাঁদের স্বাগত জানাই। আমি মনে করি না সৌমেন্দুর অপসারণের জন্য আমাদের দলে কোনও প্রতিচ্ছবি থাকবে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা দলের প্রতি অনেক অনেক বেশি অনুগত হয়ে উঠছেন।

সৌমেন্দু সহ ১৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। রবিবার ডায়মন্ডহারবারের সভা থেকে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারোনি। এবার মঙ্গলবার খড়দার সভা থেকে পাল্টা আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ভাইপো বলছে, লজ্জা করে না বাড়িতে ফোটাতে পারনি। আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাব’। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, তবে অভিষেকের কটাক্ষের জবাবে শুভেন্দুর মন্তব্যের পরেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ভাই সৌম্যেন্দুকে। তাঁর জায়গায় আনা হয় অধিকারীদের বিরোধী পক্ষ অখিল গিরি ঘনিষ্ঠ সিদ্ধার্থ মাইতিকে। আরও পড়ুন, শুভেন্দুর কটাক্ষের জের, কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে অপসারিত সৌম্যেন্দু অধিকারী

অধিকারী পরিবারের আর এক ভাই দিব্যন্দু অধিকারী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। এসব রাজনৈতিক তরজা নিয়ে তাঁকেও কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। মেদিনীপুরে অমিত শাহর জনসভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর মেদিনীপুরে সভা করেন মমতা ব্যানার্জি। সেই সভায় অধিকারী বাড়ির কেউ উপস্থিত ছিলেন না। পূর্বমেদিনীপুরের জেলা সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী জানান, পায়ের অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি সভায় থাকছেন না। তবে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সৌম্যেন্দু অধিকারীও (Soumendu Adhikeri) তৃণমূলের সভা এড়িয়েছেন।