Representational Image (File Image)

ভরসন্ধ্যায় ধপ করে রাস্তার ওপর কিছু একটা পড়ল। আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখলেন পড়ে রয়েছে এক বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ। একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতেই তাঁরা চমকে গেলেন। ইনি তো তাঁদেরই প্রতিবেশী শিবলাল যাদব। তড়িঘড়ি বছর ৮০-এর ওই বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বরানগর থানার (Baranagar Police Station) পুলিশ। তাঁরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করলেও প্রতিবেশীরা অভিযোগের আঙুল তুলছেন বৃদ্ধের ছেলের বিরুদ্ধেই।

ছেলে মারধর করত বাবাকে

জানা যাচ্ছে, শিবলাল বরাহনগরের শরৎচন্দ্র ধর রোডে অবস্থিত তিনতলা বাড়িতে ছেলে রামেশ্বর যাদবের সঙ্গে থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হামেশাই ওই বাড়ি থেকে প্রৌঢ়ের চিৎকারের আওয়াজ আসত। ছেলে রামেশ্বর তাঁকে বেধড়ক মারধর করত। এমনকী এই নিয়ে প্রতিবেশীদের কাঁছে দুঃখপ্রকাশ করতে শিবলাল। সূত্রের খবর, বুধবারেও তাঁকে মারধর করা হয়েছিল।

ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ

আর তারপরেই রাত ৮টা নাগাদ রাস্তায় কিছু পড়ার আওয়াজ পান প্রতিবেশীরা। বেরিয়ে দেখেন বৃদ্ধ মাটিতে পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও বৃদ্ধের ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকরা।