আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় টালা থানার ওসি, হাসপাতালের অধ্যক্ষ সহ বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে সিবিআই আধিকারিকরা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত নৃশংস। ৩৬ ঘন্টা টানা ডিউটি করে যখন ওই মহিলা চিকিৎসক যখন বিশ্রাম নিতে যায় তখন তাঁর ওপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়। এই ঘটনা সামনে আসার পর আমার মন ভারাক্রান্ত। রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন চলছে তা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। মহিলারা কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষাক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে এই আন্দোলন চালাচ্ছে, যার সমর্থন আমরা সকলেই করছি।

মহুয়া আরও বলেন, এই আন্দোলনের মাঝে অনেকে জায়গাতেই একাধিক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সেগুলি সমর্থনযোগ্য নয়। অনেক জায়গাতেই দাবি করা হচ্ছে পুলিশ তথ্য লোপাটের চেষ্টা করছে। তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এই ধরনের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যতটুকু প্রমাণ মিলেছে সেই অনুযায়ী এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত সিবিআই করছে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন তাঁদের পূর্ণ সহযোগীতা করছে। ঘটনার দিনই মুখ্যমন্ত্রী মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। কিন্তু তাঁরা যদি পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না থাকে তাহলে তাঁরা সিবিআই তদন্তের আর্জি জানাতে পারেন। সেইমতো হাইকোর্ট সিবিআইকে এই তদন্তের দায়িত্বও দেয়। কিন্তু ঘটনার প্রথমদিন থেকেই স্বচ্ছভাবে তদন্ত করেছে পুলিশ। রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ওপর যে ধামাচাপার অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।