কসবা গণধর্ষণকাণ্ড (Kasba Rape Case) নিয়ে এবার দলের বিরুদ্ধে্ই সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাটি নিয়ে শুক্রবার একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। বিরোধী তাঁর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। এমনকী শাসক দলের অনেকেই কল্যাণের মন্তব্যকে সমর্থন করেননি। শনিবার আবার দলের আরেক নেতা মদন মিত্রও এই একই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছিলেন। এরপরেই দলের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। যেখানে দুই নেতার মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না। এবং মন্তব্যগুলি তাঁদের ব্যক্তিগত বলে দাবি করা হয়। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
দলের ওপরেই ক্ষোভ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তিনি আবার পাল্টা পোস্ট করে জানিয়ে দেন, দলের মতকে তিনি কোনওভাবেই সমর্থন করেন না। এই বিবৃতির মাধ্যমে দল প্রকৃত অপরাধীদের যাঁরা আড়াল করছেন, তাঁদের সমর্থন করছে। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর যাঁরা দলে যোগ দিয়েছিল, সেই সময়কার একাধিক নেতানেত্রী এই ধরনের ঘটনার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে দায়ী বলে দাবি করছেন কল্যাণ। এমনকী এই ঘটনার পর ২০১১ সালের পর যাঁরা দলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে কিছু নেতানেত্রী ওপরেই আঙুল উঠছে। তাই তাঁদের সঙ্গে দুরত্ব রেখেছেন কল্যাণ।
দেখুন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট
I completely disagree with the post made by @AITCofficial on X. Are they indirectly supporting the leaders who are shielding these criminals? Mere academic statements won't bring any real change unless immediate action is taken against those leaders directly responsible. What's…
— Kalyan Banerjee (@KBanerjee_AITC) June 28, 2025
মহুয়া মৈত্রর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ছড়ালো বিতর্ক
প্রসঙ্গত, কল্যাণ ও মদনের মন্তব্যের তৃণমূলের বিবৃতির সূত্র ধরেই তাঁদের নাম না নিয়ে নারীবিদ্বেষী বলে আক্রমণ শানায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বলে রাখা ভালো, এই মহুয়ার সঙ্গেই কয়েকমাস আগে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন কল্যাণ। ফলে কল্যাণের এই মন্তব্য ঠিক কাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।