দিনহাটা, ২২ জুলাই: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে মারণ রোগের সংক্রমণ। মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায়া নিজের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর জানালনে কোচবিহারের দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। কোচবিহারে কয়েকদিনে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। এজন জেলাশাসকের নির্দেশে দিনহাটা শহর ও দিনহাটা ২ নম্বর ব্লককে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে উদয়ন গুহ লেখেন, “আমি করোনা পজিটিভ”। এর ঠিক দুদিন আগে কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক ভূষণ সিংয়ের করোনা ধরা পড়ে। সংক্রমণের পরিধি বাড়ায় জনপ্রতিধিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃণমূলের নেতা কর্মীরা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন সোমবারই আক্রান্ত হন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস।
জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতা পাঁশকুড়ার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তাঁর বাড়ির আর কেউ আক্রান্ত নন। কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলও করোনা আক্রান্ত হন। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আনা হয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামানকেও। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। তবে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ করোনায় আক্রান্ত হলেও পরে সুস্থ হয়ে যান। আরও পড়ুন-Journalist Vikram Joshi Dies: প্রয়াত গাজিয়াবাদের গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বিক্রম যোশী
এদিকে মারণ রোগের কবল থেকে নিজেকে উদ্ধার করতে পারেননি ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। দীর্ঘদিন জমে মানুষে লড়াই চলার পর গত ২৪ জুন হাসপাতালেই মারা যান ওই তৃণমূল নেতা। এদিকে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হওয়ায় চেন ভাঙতে তংপর রাজ্য প্রশাসন। সেকারণেই রাজ্যজুড়ে বৃহস্পতি ও শনিবার সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া এই দুদিন আর কিছুই খোলা পাওয়া যাবে না। নৈহাটি ও বারাসত পুরএলাকা সম্পূর্ণ লকডাউনে গিয়েছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের তালিকা। মঙ্গলবার সারাদিনের হিসেব মাফিক রাজ্যে মোট সংক্রামিত ৪৭ হাজার ৩০।