কলকাতা, ২৭ জুলাই: লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ বিজেপি-র বড় জয়ের পর সঙ্কটে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলায় জেলায় দল ছাড়ার হিড়িক দেখেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি বুঝেছেন দল বাঁচাতে প্রয়োজন সর্বক্ষণের কর্মীর। যেভাবে কঠিন সময়ে সিপিএমের জন্য জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন তাদের হোলটাইমাররা। বিজেপি-তেও এমন রীতি আছে।
দলের কঠিন সময়ে সেই পথে হেটেই দিদির এবার তাই হোলটাইমার নিয়োগ করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন। এমনই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। শোনা যাচ্ছে আগামী ২৯ জুলাই নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ঘোষণা করতে পারেন। আরও পড়ুন-জয় শ্রী রাম বিতর্কে আশা ভোঁসলের প্রশ্ন
তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে বুথে প্রতি ৪ জন করে সর্বক্ষণের কর্মী বা হোলটাইমার নিয়োগ করা হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে প্রায় ৭৭,০০০ বুথ। তাই রাজ্যজুড়ে ৩ লক্ষের বেশি সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। অনেকের ধারনা, মমতার হোলটাইমার রাখার সিদ্ধান্ত আসলে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই। সেই নজরুল মঞ্চের সভায় রাজ্যে তৃণমূলের সমস্ত জেলা সভাপতি, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সেখানেই হয়তো এই ঘোষণা হবে।
এর আগে নাকি একই রকমের দাওয়াই বিহারে নীতীশ কুমারকেও দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও তৃণমূলের একটা অংশের দাবি দলের হোলটাইমার রাখার পরিকল্পনাটা মমতার বেশ কয়েক বছরের। কিন্তু সেটা বাস্তবে হচ্ছিল না বেশ কিছু কারণে। কিন্তু এখন রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে সর্বক্ষণের কর্মী না থাকলে চলবে না। যেহেতু বিজেপি একেবারে সর্বক্ষণের কর্মী নিয়ে রাজ্য দখলে ঝাঁপাচ্ছে। তাই বিজেপি-কে ঠেকাতে সর্বক্ষণের কর্মী ছাড়া উপায় নেই বলে মত তৃণমূল নেতাদের। জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গের হারানো জমি পেতে হোলটাইমার-রাই প্রধান কাজ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বিভিন্ন সময়ে মমতা জেলায় জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই লড়েছেন। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দিয়ে সুফল মিলেছে। কিন্তু দিদির কাছে পর্যবেক্ষকদের অভিযোগ, দলকে ভাল জায়গা নিয়ে যাওয়ার অনেক পরিকল্পনা রূপায়ন সম্ভব হচ্ছে না সর্বক্ষণের কর্মী না থাকায়। আর তাই বুথে বুথে হোল টাইমার নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল।