Anubrata Mondal (Photo Credits: X)

কলকাতা, ১৬ মে: বছরখানেক পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলীয় সংগঠনে রদবদল করল তৃণমূল। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একজন করে চেয়ারপার্সন ও একজন জেলা সভাপতিকে সংগঠনের মাথায় রাখা হল। এবার থেকে চেয়ারপার্সন ও জেলা সভাপতির মেলবন্ধনে চলবে দল। তবে বীরভূম ও উত্তর কলকাতায় এর ব্যতিক্রম হল। এই দুই জায়গায় জেলা সভাপতি থাকল না, তার পরিবর্তে থাকল বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে জেলা কোর কমিটি। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দলের কাজে যোগ দিলেও অনুব্রত মণ্ডল জেলার চেয়ারপার্সন হতে পারলেন না। বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি কেষ্টকে ৯ সদ্যসের কোর কমিটিতে দেখা গেল না।

উত্তর কলকাতায় চেয়ারপার্সন হলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্যা চলা উত্তর কলকাতার তৃণমূলের কোর কমিটিতে আছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক অতীন ঘোষ, সুপ্তি পান্ডে, নয়না বন্দ্য়োপাধ্যায়, পরেশ পাল, স্বর্ণকমল সাহা,জীবন সাহা, স্বপন সমাদ্দার ও বীবেক গুপ্ত। দক্ষিণ কলকাতায় দলের সভাপতি হলেন দেবাশীষ কুমার, চেয়ারপার্সন মণীশ গুপ্ত। আরও পড়ুন- তৃণমূলের কোন জেলায় সভাপতি কারা, জানুন তালিকা

তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল

নদিয়ার দায়িত্বে মহুয়া মৈত্র

অনুব্রতর জেলায় তৃণমূলের জেলা চেয়ারপার্সন হলেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতর সঙ্গে বীরভূমের কোর কমিটিতে আছেন- কাজল শেখ, চন্দ্রনাথ সিনহা, অভিজিত সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ। হাওড়া শহরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি হলেন গৌতম চৌধরী, চেয়ারপার্সন অরূপ রায়। নদিয়ায় জেলা সভাপতি করা হয়েছে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।

দলীয় সংগঠনে কোনও আত্মতৃপ্তি চাইছে না তৃণমূল

গত বছর লোকসভা নির্বাচনে বড় জয়, তারপর একটার পর একটি বিধানসভা উপনির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছে। কিন্তু এরপরেও আরজি কর আন্দোলনে দলীয় নেতা-কর্মী, সংগঠন নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তৃণমূলের মধ্য়ে। ১৪ বছর ধরে রাজ্যে একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে দলে বেনোজল ঢুকে পড়েছে, ক্ষমতালোভীরা ভিড় জমিয়েছে তা ক্যামেরার পিছনে স্বীকার করে নিচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। দুর্নীতি মুক্ত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান মমতা।