কৃষ্ণনগরে ফাঁকা পুজো মণ্ডপের সামনে এক তরুণীর অর্ধনগ্ন, দ্বগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দেহ উদ্ধারের পর থেকেই কোতয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণী প্রেমিককে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবক ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিলেন মেয়েটি। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর বুধবার সকালে এলাকার একটি ফাঁকা পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে উদ্ধার হয় দেয়। এই ঘটনা সামনে আসতেই মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের।
কুণাল এদিন বলেন, "মেয়েটির সঙ্গে যা হয়েছে তা খুবই খারাপ হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করেছে। যা কিছু করণীয় তাই করছে। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ ছিল একজন স্থানীয় যুবকের ওপর অভিযোগ তুলেছে। তাঁর সঙ্গে নাকি সম্পর্ক ছিল বলেও জানা গিয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। এটা নিতান্তই একটি ব্যক্তিগত বিষয়। পুলিশের এখন কাজ, দ্রুত তদন্ত শেষ করে ট্রায়ালের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া এবং পুলিশ তার কাজ করছে"।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধে ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয় ওই তরুণী। দাদু-ঠাকুমার কাছে থাকত সে। পাশের পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। পরিবারের দাবি, পুজো মিটলেই তাঁর সঙ্গে রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। আর সেই কারণে পুজোর মধ্যে তরুণীকে বেরোতে আটকায়নি পরিবার। কিন্তু রাত ৯টা পেরোনোর পর বাড়িতে না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার। ঠাকুমা মেয়েটির মাকে ফোন করে জানায়। বাড়ি থেকে তরুণীর ফোনে কল গেলেও সেটা কেউ রিসিভ করে না। একবার ওই যুবক ফোন ধরে বলে সে ঘুমোচ্ছে।
#WATCH | Kolkata, West Bengal: On the alleged rape and murder of a girl in Krishnanagar, TMC leader Kunal Ghosh says, " What happened with the girl was really bad but Police are doing everything they need to, whole sections have been added and a case has been registered. The… pic.twitter.com/uRJUUge3mG
— ANI (@ANI) October 16, 2024
বুধবার সকাল থেকে খোঁজখবর শুরু হয়। ছেলেটির বাড়িতে দাদু এবং স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে কথাও বলে। আর তখনই যুবকের অসলংগ্ন কথায় সন্দেহ হয় তাঁর। এরপর পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে একটি দেহ অজ্ঞাত পরিচয়ের মেয়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটির মুখ অ্যাসিড দিয়ে পুরিয়ে দেওয়া হয় যে কারণে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা না গেলেও পরে পরিবার এসে দেহটি দেখে চিনতে পারে। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত।