চলতি বছরে বিহারে (Bihar) বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আগামী বছরেই বাংলায় নির্বাচন রয়েছে। সে কারণে এই প্রক্রিয়ার বিরোধীতায় এখন থেকেই গলা ফাটাচ্ছে তৃণমূল শিবির। সেই সঙ্গে পড়শি রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকেও সমর্থন করছে তৃণমূল। তবে এত প্রতিবাদে কর্ণপাত না করেই সংশোধনীর পর তালিকার খসড়া প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই শাসক, বিরোধী প্রতিটি দলের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে এই খসড়া।

এসআইআর নিয়ে উত্তাল পার্লামেন্ট

এই নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেউ উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। দফায় দফায় বিরোধীদের স্লোগানে ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজ। এমনকী বিরোধীরা শাসক দলের সঙ্গে এই বিষয়ে বিশেষ আলোচনার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে রাজ্যে তৃণমূলের তরফে এই সংশোধনী তালিকার কড়া বিরোধীতা জানানো হচ্ছে। যদিও এ রাজ্যে এসআইআর কার্যকর হবে না বলে এদিনও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

দেখুন কুণাল ঘোষের বক্তব্য

হুঁশিয়ারি কুণালের

তিনি এদিন বলেন, ওঁরা যাই করুক না কেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যবাসীর সমর্থনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এব্যাপারে আমরা একেবারে নিশ্চিত। তবে বিজেপি শিবির এই নির্বাচনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে। আসলে আমাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে, একজনও যোগ্য ভোটার যেন ভোটদানে বাধা না পান। এর আগে মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে দেখেছি কীভাবে বহিরাগত ভোটাররা এসে ভোট দিয়েছে। এটা এখানে চলবে না। আমরা এর কড়া প্রতিবাদ করবই।