মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়(Photo Credits: Social Media)

দাসপুর, ২৬ মার্চ: মনে রাখবেন এই ভোট দিল্লির নয়, বাংলার ভোট। আপনারা যদি আমাকে চান তাহলে আমাদের প্রতিটা প্রার্থীকে জেতাতে হবে। চাষিদের উপরে নির্যাতন করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। হোঁদল কুতকুতের সরকার। বিরসা মুণ্ডার নামে অন্য লোকের গলায় মালা দিয়ে চলে এল। বোলপুরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান বলে দিল বিজেপি। দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণায় মাস্টার প্ল্যান করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র। এবার আমাদের সরকারকে ভোট দিলে বিনা পয়সায় চাল দেব। দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেব চাল। দিলীপ ঘোষ জিতে পালিয়ে গেছে, কিছু দিয়েছে? আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা করেছি। অন্যদিকে ‘হায়দরাবাদ থেকে এল গাই সাথে জুটল শয়তান ভাই’, সিপিএমের হার্মাদরাই আজ বিজেপির ওস্তাদ। দাসপুরের জনসভায় ফের একযোগি বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধ সরব তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee)।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সোনার, জড়ির ক্লাস্টার তৈরি হবে। ৪০ শতাংশ বেকার সমস্যা কমিয়ে দিয়েছি। সবংয়ে পটচিত্রের কাজ হয়েছে।ডেবরার একটা ব্রিজ বাকি আছে, সিপিএমের ভুলের জন্যই এই সেতু তৈরিতে সমস্যা হয়েছে। তবে এবার করে দেব। বিজেপি বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে ভোট করাতে চাইছে। ইভিএম খারাপ হয়ে গেলে ছেড়ে যাবেন না। ইভিএম ভাল করে পরীক্ষা করতে হবে, না হলে ভোট ভরে আনবে। ভিভিপ্যাট ভাল করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ৪০ লক্ষ বাড়ি আমরা তৈরি করে দিয়েছি। আগামী দিনে ৩০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেব। আগামী দিনে ৪৬ হাজার রাস্তা আরও তৈরি হবে। রাজ্য ও জাতীয় সড়কের পাশাপাশি গ্রামেও রাস্তা করে দেব। গ্রামেও পাকা রাস্তা হয়ে যাবে।”  আরও পড়ুন-Anil Dharker Dies: মুম্বইয়ের আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা অনিল ধারকেরের জীবনাবসান

মনে রাখবেন, আমি গর্ব করি সব কাজ নিয়ে। ওভার কনফিডেন্সের কোনও জায়গা নেই। বিজেপির মতো এত শয়তান দল সারা পৃথিবীতে নেই। গণনার দিন বিরিয়ানি দিলেও খাবেন না। নিজের তৈরি করা খাবার ছাড়া। উত্তরপ্রদেশের বিজেপির পুলিশ আসবে। এরা করতে পারেন না এমন কাজ নেই। বিরিয়ানি খাবেন না, তাতে বিষ বা ড্রাগ মেশানো থাকবে। ওই বিরিয়ানি খেলে ঘুমিয়ে পড়বেন। আর ভোটবাক্স নিয়ে ওরা পালিয়ে যাবে। ২৮ তারিখ থেকে আমি মেদিনীপুরে থাকছি। সব লক্ষ্য রাখব। গুন্ডাদের নিয়ে আসছে বিজেপি। ঢুকতে দেবেন না। গুলির বদলে গুলি চালাব না। বন্দুকের বদলে বন্দুক চালানো আমার রাজনীতি নয়। ক্যাশ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। গ্যাস দিয়েও নয়। বিজেপি বুঝতে পারছে। আয় তোদের আগে ভাল করে ফোটাই এটাই বলবেন, তারপর তোরা খরচের টাকা দিস। নোটবন্দির টাকা, ব্যাংকবন্দির টাকা নিয়ে নেবেন। এরপর রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে খরচা করে দেবেন। নারী বিদ্বেষী একটা রাজনৈতিক দল। সংবাদমাধ্যম বিদ্বেষী একটা রাজনৈতিক দল। কৃষক বিদ্বেষী একটা দল। লুচি ফুলছে বিজেপি জ্বলছে।