নন্দীগ্রাম, ৩১ মার্চ: রাত পোহালেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন। আর এবারের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। যেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। রয়েছে সংযুক্ত মোর্চার মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার ছিল নন্দীগ্রামে শেষ প্রচার। শেষবেলার প্রচারে টেঙ্গুয়া মোড়ের জনসভা থেকে মুকুলকে (Mukul Roy) বেচারা বললেন তৃণমূলনেত্রী। ২০১৭-র নভেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। এরপর তাঁর হাত ধরেই তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়। ১৯-এর লোকসভা ভোটের আগেভাগে মুকুলের নেতৃত্বে একে একে অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, অনুমপম হাজরা দলত্যাগ করেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখে গত নভম্বের বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের আর এক সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। এবার শুভেন্দুর থেকে মুকুলকে ভাল বললেন মমতা। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: ‘মাথা ঠান্ডা রেখে ভোট দিন, বাংলা থেকে বিজেপিকে বোল্ড আউট করুন’, মমতা
নন্দীগ্রামে শেষবেলার প্রচারমঞ্চ থেকে মমতার এই মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন তিনি বলেন, ‘‘মুকুল বেচারা থাকে কাঁচরাপাড়া। ব্যারাকপুর, জগদ্দল, ভাটপাড়া, এটা ওর নিজের এলাকা। ওকে পাঠিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণনগর।’’ এর পরই তাঁর সহাস্য মন্তব্য, ‘‘মুকুল শুভেন্দুর মতো এত খারাপ নয়। অন্তত এটা আমি বলব।’’ এর পরই অবশ্য মুকুল এবং শুভেন্দুকে একাসনে বসিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওরা যখন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তখন এটা ওদের ব্যাপার। ওরা অন্য রাজনৈতিক দল করে।’’ পাশাপাশি দু’জনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতার বার্তা, ‘‘ওরা ভাল থাকুক, সুখে থাকুক। আমার কিছু যায় আসে না।’’ এহেন মন্তব্য করে বিজেপির নব সদস্যদের মধ্যে একটা দ্বিধা জাগিয়ে দিলেন মমতা। যাঁরা সারাবছর দলের জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করলেন, তাঁদের বাদ দিয়ে দলত্যাগী তৃণমূল ও সিপিএমদের নির্বাচনে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না তিনি।
শাহকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “অরিজিনাল লোক হলে থাকে, নাহলে থাকে না। এটা মাথায় রাখবেন অমিতবাবু। নিজের লোকগুলোকে ঠকালেন, নিজের লোকগুলোকে প্রতারণা করলেন। সিপিএমকে মদত দিলেন। তৃণমূলকে ভাঙাতে গিয়ে নিজের দলটাকে ভেঙে দিলেন। বিজেপি এবার নিজের লোকগুলোকে টিকিট দেয়নি। সিপিএমের হার্মাদ ও তৃণমূলের গদ্দারদের টিকিট দিয়েছে। সব ধার করা। গোটা পার্টিটাই ধার করা।”