Lockdown In West Bengal: বৃহস্পতি ও শুক্রবার কড়া লকডাউনে রাজ্য, রাস্তায় বেরলেই পুলিশের হুঁশিয়ারি
লকডাউন (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ২০ আগস্ট: সুস্থতার হার বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি। এই পরিস্থিতি আজ বৃহস্পতিবার ও আগামী কাল শুক্রবার রাজ্যজুড়ে চলবে লকডাউন। চলতি মাসে কয়েকটা লকডাউন হলেও পরপর লকডাউন হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে জনগণের অযথা ঘোরাঘুরি বন্ধের অনেক চেষ্টা চলছে প্রশাসনের তরফে। তবে লাভের লাভ তেমন হচ্ছে না। আগস্টে ঠিক কবে কবে লকডাউন হবে তানিয়ে বেশ কয়েকবার পর্যালোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট দিন বদলে নতুন দিনে লকডাউন ঘোষণা করেছে নবান্ন। তবে টানা লকডাউনের পর এই প্রথম পরপর দুদিন লকডাউন। তাই জনগণকে দুদিন ঘরে আটকে রাখা যাবে কি না তানিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রাজ্য প্রশাসন। তবে এই দুদিন বিনাকারণে যদি রাস্তায় কেউ ঘোরাঘুরি করেন, তাহলে শাস্তি পাওয়ার কারণ থাকছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা লকডাউন হবে। তাই বুধবার দোকান বাজারে থিকথিকে ভিড় নজরে পড়েছে। কলকাতার রাস্তায় গাড়ির চাপও ছিল যথেষ্ট। এমনকী বেশ কয়েকটা রাস্তায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়। মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরনোর জন্য অনেককেই এদিন পুলিশি জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাপ্তাহিক লকডাউনের মতো এই দুদিনে দোকান বাজার সব বন্ধ থাকবে। একমাত্র ওষুধ ও দুধের মতো জরুরি পরিষেবা চালু থাকছে। যেসব এলাকায় লকডাউন ভাঙার প্রবণতা রয়েছে সেইসব এলাকায় কড়া নজরদারি চালাবে পুলিশ। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি কমিশনারেট ও জেলাপুলিশকেও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। যেসব এলাকায় হু হু করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেসব জায়গায়ও থাকবে কড়া নজরদারি। শুধু কলকাতা নয়, জেলার যেসব জায়গায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি সেখানে প্রশাসনের তরফে থাকছে কড়াকড়ি। আরও পড়ন-Kolkata: করোনামুক্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে

সম্প্রতি বাংলায় ব্যাপক হারে করোনা টেস্ট হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে জেলাগুলির মধ্যে এখনও শীর্ষে কলকাতা। শহরে ৩৪ হাজার ১৩৩ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৬ জন। এর মধ্যে স্বস্তির খবর হল, সামগ্রিকভাবে সুস্থতার হারও ঊর্ধ্বমুখী। কলকাতায় মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫৯১ জন এবং ৬ হাজার ৪২১ জন চিকিৎসাধীন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ১২১ জন।