![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2019/06/CBI_PTI-784x441-380x214.jpg)
কলকাতা, ১৭ মে: কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে বিচারব্যবস্থা সম্ভব নয়। আদালতে শুনানি হবে। কিন্তু অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে পেশ করা হবে না, বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। সশরীরে আদালতে পেশ হবে না। লকডাউনের বিধি ভেঙে কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।
নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় তৃণমূলের চার নেতা তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পৃথক ঘরে রাখা হয়েছে। সিবিআই হানার খবর পেয়ে সকালেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপরে সেখান থেকে সটান চলে যান নিজাম প্যালেসে। ১৫ তলার ভিজিটরস রুমে বসে আছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে, তিনি বলেছেন, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের চার তৃণমূল নেতাকে। যতক্ষণ না তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় ততক্ষণ তিনি নিজাম প্যালেস ছেড়ে যাবেন না। এক ঘণ্টা কেটে গেলেও সেখান থেকে বেরোননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে যখন চেতলার বাড়ি থেকে সিবিআই ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তার করে তখন তিনি বলেছিলেন, “আমাকে নারদা মামলায় গ্রেপ্তার করল সিবিআই। আদালতে লড়ে নেব।” আরও পড়ুন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করুন’, সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ মমতার
একে একে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির পর শোভন পত্নী রত্না, তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছা যান নিজাম প্যালেসে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল দশটা নাগাদ নিজাম প্যালেসের অ্যারেস্ট মেমোয় চারজনকে দিয়ে সইও করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সাত সকালে মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে শাসকদলের চার নেতাকে এভাবে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।