কলকাতা, ১৭ মে: নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় তৃণমূলের চার নেতা তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পৃথক ঘরে রাখা হয়েছে। সিবিআই হানার খবর পেয়ে সকালেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপরে সেখান থেকে সটান চলে যান নিজাম প্যালেসে। ১৫ তলার ভিজিটরস রুমে বসে আছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে, তিনি বলেছেন, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের চার তৃণমূল নেতাকে। যতক্ষণ না তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় ততক্ষণ তিনি নিজাম প্যালেস ছেড়ে যাবেন না। এক ঘণ্টা কেটে গেলেও সেখান থেকে বেরোননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে যখন চেতলার বাড়ি থেকে সিবিআই ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তার করে তখন তিনি বলেছিলেন, “আমাকে নারদা মামলায় গ্রেপ্তার করল সিবিআই। আদালতে লড়ে নেব।” আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: নিজাম প্যালেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
একে একে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির পর শোভন পত্নী রত্না, তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছা যান নিজাম প্যালেসে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল দশটা নাগাদ নিজাম প্যালেসের অ্যারেস্ট মেমোয় চারজনকে দিয়ে সইও করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সাত সকালে মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে শাসকদলের চার নেতাকে এভাবে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কোভিড বিধি মেনে চলচে লকডাউন। এরমধ্যে এহেন ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
#WATCH | West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee arrived at the CBI office pic.twitter.com/eNvpSeu692
— ANI (@ANI) May 17, 2021
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত বলেছেন “মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়কে না জানিয়ে এই গ্রেপ্তার বেআইনি। সিবিআই এমন প্রতিহিংসা মূলক আচরণ করেছে, এবার তাঁকেও গ্রেপ্তার করুক। নাহলে তিনি সিবিআইয়ের দপ্তর ছাড়বেন না। এমনটা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া নারদা মামলার চার্জশিট দেওয়ার বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল, বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা। সিবিআই রাজ্যাপলের অনুমতি নিলেও বিধানসভার অনুমতি নেয়নি। যা নিঃসন্দেহে বেআইনি।” অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দাবি, বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা নারদা কাণ্ডের সময় মন্ত্রী ছিলেন। আর রাজ্যপাল নিজে মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। তাই অনুমোদনও তিনিই দেবেন। বিধানসভার স্পিকার নন।
রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদের অবমাননা করেছেন। নির্লজ্জ বেহায়া, মানসিক অবসাদগ্রস্ত অতৃপ্ত আত্মা,