পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সদ্যই ধর্ষণ বিরোধী বিল অপরাজিতা পাশ হয়। এই বিল সারা দেশের কাছে একটি দৃষ্টান্ত, এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। বুধবার তিনি বলেন, অপরাজিতা বিল পাশ পর সারা দেশে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তৃণমূল সরকার। এই বিলের মাধ্যমে নারীদের ওপর যাঁরা অত্যাচার করবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া সাজা দেওয়া হবে। ধর্ষণকারীদের কোনওভাবেই রেয়াদ করা যাবে না। মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়াণ নেতা শরদ পাওয়ারও এই বিলের প্রশংসা করেছে। তিনি বলেছেন, মহারাষ্ট্রেও এই ধরণের বিল আনা উচিত। তবে আমার মনে হয় বাংলা কেন সারা দেশে এই বিল আনা উচিত। আসলে বাংলা যা আজ ভাবে গোটা দেশ তা পরে ভাবে। আমাদের এই বিল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে এই ধরণের বিল নিয়ে আসা।

প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়ছিল। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসনের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াতে থাকে আন্দোলনকারী ও রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তারপরেই কার্যত চাপে পড়ে অপরাজিতা বিল নিয়ে আসে রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত আরজি করের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনার প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। যদিও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

সব মিলিয়ে এই মামলায় বেশ ভালোই চাপে পড়েছে রাজ্য সরকার। এই ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। নবান্ন অভিযান থেকে ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ সবেতেই তাঁরা এখনও পর্যন্ত সফল। এখন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা কলকাতা পুলিশ সুপার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি করেছেন।