ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি (Picture Source: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১ জুন: লকডাউন ৫.০ শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন ১ জুন থেকে খুলে যাবে রাজ্যের সব ধর্মস্থান। করোনা সতর্কতা বিধি মেনে হবে পুজো। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ভক্ত মন্দিরে (Temples) প্রবেশ করতে পারবেন না। ধর্মস্থানে স্যানিটাইজার রাখবাধ্যতামূলক বলেও জানান তিনি। সেই কথা মেনেই সোমবার থেকে শহর ও জেলায় বেশ কিছু মন্দিরের দরজা খোলে। আবিরের অনেক মন্দিরই এখন খুলছে না।

আজ যে মন্দিরগুলি খুলেছে তার মধ্যে রয়েছে-ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি, লেক কালীবাড়ি। তবে এখনই পুজো দিতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা। ভক্তদের জন্য পঞ্চপীঠের জেলা বীরভূমে বক্রেশ্বর বাদে চারটি সতীপীঠের দরজাই খুলে দেওয়া হয়। এই চারটি সতীপীঠ হল, সাঁইথিয়ার নন্দীকেশ্বরী, নলহাটির নলাটেশ্বরী, বোলপুরের কঙ্কালী ও লাভপুরের ফুল্লরা। সোমবার থেকে খুলবে না তারাপীঠের মন্দির আগেই জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। করোনা সতর্কতা নিয়েই মন্দির খুলবে। তার ব্যবস্থার করতে সময় লাগবে। তাই ১৫ জুনের আগে মন্দির খোলা সম্ভব নয়, বলে জানানো হয়। ১৪ জুন জুন রিভিউ মিটিং হওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এই মুহূর্তে খুলছে না বেলুড় মঠও। জানানো হয়েছে, মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে। ১৫ দিন পর খুলতে পারে বেলুড় মঠ, দুঘণ্টা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের বলেও জানা গেছে।

আরও পড়ুন, কলকাতা-সহ তিন মেট্রো শহরে বাড়ল গ্যাসের দাম, ১ জুন থেকে লাগু

তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিধি- নিষেধ অমান্য করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। সকলেই মন্দিরে মাস্ক পরেই আসছেন। কিন্তু মন্দিরের তরফে স্যানিটাইজারের কোনও ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।