শীত (প্রতীকী ছবি: File Photo)

কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর: বর্ষবরণে যে শীতের আমেজ থাকবে তা ফের প্রমাণ করল রবিবার। চলতে মরশুমে পারদ পতন অব্যাহত রয়েছে গত উইকএন্ড থেকেই। শনিবার ১২ ডিগ্রি ছোঁয়ার পর রবিবারে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেল ১১.২ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি কম। শহর কলকাতা যখন কাঁপুনি দিয়ে গরম পোশাকের ওমে মুড়েছে তখন জেলার পরিস্থিতি যে আরও শীতল (Winter In West Bengal) হবে তা বলাই বাহুল্য। পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রামে ঠান্ডা বেশ কয়েদিন ধরেই ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। এই জেলাগুলিতে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুরের হাওয়া অফিস। এদিকে রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা না থাকায় ঠান্ডা এই গতিততেই ইনিংস গড়বে। আগামী কাল সোমবারের পর থেকে তাপমাত্রার সামান্য হেরফের হলেও তা ১৫ ডিগ্রি ছাড়াচ্ছে না। তাই বর্ষবরণে জমিয়ে শীত আর বাহারি খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে উদযাপন বেশ ভালোই হবে বলে আশা করা যায়। সমতলে যখন শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস তখন পাহাড়ে তো তা অবধারিত। এই জাঁকিয়ে শীতেই পর্যটক সমাগমে উচ্ছল দার্জিলিং। চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতিও। করোনাকালে সমস্ত নিয়মকানুন ভেঙে দুদিন আগেই পার্কস্ট্রিটের জনারণ্য দেখেছে শহর কলকাতা। মুখে মাস্ক থাকলেও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-কে দূর দূর তাকিয়েও চেনা যায়নি। এদিকে করোনার নতুন প্রজাতির আতঙ্ক এখনও তাড়া রে ফিরছে। ইংল্যান্ডে ক্রিসমাস বর্ষবরণের যাবতীয় সেলিব্রেশনে পড়েছে লকডাউনের ছায়া। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে জোরদার প্রচার। আরও পড়ুন-Japan Bans Entry From All Countries: করোনার নতুন প্রজাতির কাঁটা, জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত জাপানে নিষিদ্ধ বিদেশিদের প্রবেশ

এমন কনকনানি ঠান্ডার উপস্থিতিতে মানুষ করোনাকেও পাত্তা দিচ্ছে না। আনন্দ উদযাপন বরং কয়েক গুণ বেড়েছে। গত সপ্তহা ধরে দৃশ্যমানতা কেড়ে নেওয়া কুয়াশাও উধাও বাংলার আকাশ থেকে। ভোরের দিকে কুয়াশার চাদর থাকলেও আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সেসব কেটে একেবারে ঝকঝকে আকাশ। রোদ্দুর যত বাড়ছে শীতও ততই পড়ছে জমিয়ে। বছর শেষের মুহূর্তগুলো তাই চেটেপুটে উদযাপনে ব্যস্ত বঙ্গবাসী।