কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর: আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Asansol MP Babul Supriyo) বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। মোদী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী এখন দিদির দলে। বিজেপি নেতাদের এই ক্ষোভে যোগ হল তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) টুইট। বিজেপির প্রবীণ এই নেতা দু দুটো রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব সেরে আবার রাজনীতিতে ফিরেছেন। সেই তথাগত রায় তার টুইটে সরাসরি বাবুল সুপ্রিয়কে বিশ্বাসঘাতক বললেন। সঙ্গে লিখলেন, "ও তো প্রথম বিশ্বাসঘাতক নয়! শেষও নয়। কিন্তু মতাদর্শ চিরন্তন। ব্যক্তিপূজা কখনো মতাদর্শকে হারাতে পারবে না। বিপদ কেটে যাবে।" বাংলায় বিজেপিকে বিপদে ফেলছে বিশ্বাসঘাতকরাও সেটা সবার আগে টুইটে লিখেছেন তিনি।
এই টুইটের জবাব দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে আক্রমণ করতে যে ভাষার ব্যবহার করেছে তথাগত, তা নিয়েই জবাব দিয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া আসানসোলের সাংসদ। আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৩০,৭৭৩ জন, মৃত্যু ৩০৯ জনের
দেখুন তথাগত রায়ের টুইট
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে বিপদে ফেলেছে বিশ্বাসঘাতকরা।
বেচারা @SuPriyoBabul -র উপর রাগ করে আর কি হবে ? ও তো প্রথম বিশ্বাসঘাতক নয় ! শেষও নয়।
কিন্তু মতাদর্শ চিরন্তন। ব্যক্তিপূজা কখনো মতাদর্শকে হারাতে পারবে না। বিপদ কেটে যাবে।
— Tathagata Roy (@tathagata2) September 18, 2021
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এ বিজেপির খারাপ ফল ও তৃণমূলের ঐতিহাসিক সাফল্যের পর বাংলার দলবদলের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। ভোটের আগে তৃণমূল থেকে স্রোতের মত নেতা-কর্মী-জনপ্রতিনিধি, এমনকি বিধায়ক-সাংসদ-মন্ত্রীরাও দল ছেড়েছিলেন। দিদির দলের দারুণ জয়ের পর এবার স্রোতের পর বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার হিড়িক পড়েছে। মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পর, একের পর এক বিজেপির নেতা-কর্মী-বিধায়ক-সাংসদ দিদির দুয়ারে যাচ্ছেন।
দেখুন বাবুল সুপ্রিয়র টুইট
Check out the difference in what you have tweeted & what/how @swapan55 has•While his is class, sadly Your’s is very crass•The content of your tweets & the language u write shud be in sync with your age & the high post of a Governor u hv held•Knowing you as well as I do, https://t.co/REn590lUcH
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 18, 2021
আপাতত তৃণমূলে গিয়েছেন বিজেপির চারজন বিধায়ক, এক সাংসদ। তৃণমূল ছেড়ে যারা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে হেরে গিয়েছেন, তারাও হত্যে দিয়ে তৃণমূলের দোরে দোরে ঘুরছেন। আগামী দিনে আরও বিজেপির নেতা তৃণমূলে আসছেন বলে খবর। এখানেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ছে বিজেপি নেতৃত্ব। কেন ভোটের আগে কোনওদিক না ভেবেই তৃণমূল থেকে নেতা-বিধায়কদের দলে নেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে বাবুলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিন্তু আলাদা। বাবুল কিন্তু রাজনীতি শুরু করেছিলেন বিজেপি থেকেই। বাংলায় বিজেপির রমরমার শুরুটা বাবুলের হাত ধরেই। বাবুলের স্টারডমে ভর করে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গে প্রথমবার কোনও লোকসভা আসনে জিতেছিল। বাবুলই রাজ্যে একমাত্র একই আসনে জেতা বিজেপি-র একমাত্র সাংসদ। তাহলে বাবুল দল ছাড়লেন কেন? প্রশ্নটা কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের দিকেও যাচ্ছে।