রবীন্দ্র সদনে মুখ্যমন্ত্রী (Photo: ANI)

কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ তাপস পালের (Tapas Pal) মৃত্যুকে কেন্দ্রীয় সরকার ও সিবিআই (CBI)-কে দায়ি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (West Bengal CM Mamata Banerjee)। রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত অভিনেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসে বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, রবীন্দ্র সদন থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রের একটা এজেন্সির দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে মৃত্যু। মানসিকভাবে নিজে এমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছিল। মৃত্যুর আগে হয়তো জানতেও পারল না যে ওর অপরাধটা কোথায়? একটা বিনোদন চ্যানেলের ডিরেক্টর হিসেবে মাইনে পেয়েছিলেন। সেই জন্য তাঁকে ১ বছর ১ মাস জেলে রেখে দেওয়া হল। দিনের পর দিন লাঞ্ছনা, গঞ্জনার শিকার হতে হল। বিজেপির চাপে দুর্বিষহ, দুর্দশাগ্রস্ত, আহত, ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তাপস।"

পৌনে ১২টা নাগাদ রবীন্দ্র সদনে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর প্রয়াত অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। কথা বলেন তাপস পালের পরিবারের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী নন্দিনী ও মেয়ে সোহিনী। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পরে বেরোনোর সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও সিবিআই-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। শুধু তাপস পাল নয়, এদিন প্রিয় অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে সুলতান আহমেদ (Sultan Ahmed) ও প্রসূন ব্যানার্জির (Prasun Banerjee) স্ত্রীর অকালমৃ্ত্যুর জন্যেও সিবিআইকে দায়ি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী বিভিন্ন কম্পানিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করেন। সেই কাজ করতে গিয়ে যদি অকালে মৃত্যু হয়, তাহলে আর কী বলার থাকতে পারে। সুলতান আহমেদের পরিবার সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওরা জানায়, সুলতান একটা ফোন পায়, তারপর চিঠি পেল, বাথরুমে গেল, মারা গেল। প্রসূন ব্যানার্জির স্ত্রীও মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অকালে চলে গেল। এখন প্রায় একবছর ধরে জেলবন্দী হয়ে রয়েছেন শ্রীকান্ত মোহতা। ওরও শরীর ভাল নয়। একবার স্ট্রোক হয়ে গেছে।" আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2020: স্কুল থেকে অ্যাডমিটই তোলা হয়নি, গড়িয়ায় পুলিশের সাহায্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল ছাত্রী

তৃণমূল নেত্রী বলেন, "তাপসের তো এখন যাওয়ার কথা নয়। তাপসের মুখের দিকে আমি আজকে তাকাতে পারছি না। একি খেলা চলছে। আমি মর্মাহত, শোকাহত, দুঃখিত। 'দাদার কীর্তি', অমর কীর্তি হিসেবে বেঁচে থাকবে।"