কলকাতা, ১৩ মার্চ: করোনাভাইরাসের থাবায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ভারতেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫। এখনও পর্যন্ত একজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় করোনাভাইরাস সন্দেহে বেলেঘাটা আইডিতে অনেকে ভর্তি হলেও কারোর শরীরে সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি। এই নিশ্চিন্ততার মধ্যেই যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইডেনে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানে ডে ম্যাচে মুকোমুখি হচ্ছে আগামী ১৮ মার্চ। সেদিন কোনও দর্শক সেখানে থাকবেন না। জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচেও দর্শকাসন ফাঁকা রাখার নির্দেশিকা রয়েচে। এদিকে করোনা আতঙ্কের মাঝেই রাজ্যে ১৩ জন সোয়াইন ফ্লুতে (Swine flu) আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলল। এরমধ্যে দুই আক্রান্ত ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। বাকি ১১ জনের মদ্যে দুজন আবার শিশু।
কলকাতার এএমআরআই হাসপাতালে তিনজন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের নার্স ফিজাম এল চানু মণিপুরের বাসিন্দা। তিনি সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে সেখানেই ভর্তি আছেন। তালিকায় রয়েছে ওড়িশার বালাসোরের বাসিন্দা ২৩ মাসের শিশু দিব্যাংশু পাণ্ডা। একইভাবে ১০ মার্চ থেকে আমরিতে চিকিৎসাধীন হুগলির নবগ্রামের নিমিশা চক্রবর্তী (১০)। আমরির ল্যাবেই চলছে রক্তের নমুনা পরীক্ষা। সেখানেই আরও ১০ জনের শরীরে সোয়াইন ফ্লুর জীবাণু মিলেছে। এমনিতেই করোনা আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার ধুম পড়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে কোনও বড় জমায়েত হচ্ছে না। লোকজন আতঙ্কে আমন্ত্রণ বাড়িও এড়িয়ে চলছে। এই পরিস্থিতিতে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আরও পড়ুন- Farooq Abdullah To Be Released From House Arrest: ৭ মাস পর ঘুচল গৃহবন্দি দশা, মুক্তি পেলেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা
এদিন ইরানে আটকে থাকা ১২০ জন ভারতীয়কে এয়ার লিফটের মাধ্যমে জয়সলমের সেনা ক্যাম্পে নিয়ে এসেছে এয়ার ইন্ডিয়া। সেখানকার আইসোলেশন ইউনিটে থাকবেন ওই ১২০ জন ভারতীয ইরানে এখন প্রচুর ভারতীয় আটকে আছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বা পুণ্যার্থী, কেউ বা পড়ুয়া। আগামী ১৫ তারিখে আরও ২৫০ জনকে এয়ারলিফটের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয় শংকর। এদিকে ভারতে পর্থম করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবর বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্র। মৃত ব্যক্তি কর্ণাটকের বাসিন্দা। এক মাসের জন্য় তিনি সৌদি আরবে যান। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফেরার পর ঠান্ডা লাগায় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রক্ত পরীক্ষা হলে প্রথমে মনে করা হয়েছিল নিউমোনিয়া হয়েছে। পরে জানা যায় সিওভিআইডি-১৯ পজিটিভ। ১০ তারিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।