কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি: বছর আড়াই আগে জিআই (Geographical Indications) স্বীকৃতি পেয়েছে বর্ধমানের সীতাভোগ (Sitabhog) ও মিহিদানা (Mihidana)। তারও আগে বর্ধমানের ‘গোবিন্দভোগ’ চাল ওই স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বার শক্তিগড়ের ল্যাংচা (Saktigarh Langcha) যাতে জিআই স্বীকৃতি পায়, সে জন্য উদ্যোগী হল রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। শুধু ল্যাংচা নয়, কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের কাছে নতুনগ্রামের কাঠের পেঁচা, খণ্ডঘোষের ওঁয়ারির মহিলাদের তৈরি ‘ফেজ টুপি’ ও জেলার মশলা বড়িও যাতে ওই স্বীকৃতি পায়, সে চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আনন্দবাজার ডিজিটালের খবর অনুযায়ী, সোমবার বর্ধমানের উল্লাস মোড়ের কাছে ‘মিষ্টি হাবে’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান সচিব বরুণকুমার রায়ের উপস্থিতিতে কর্মশালা হয়। সেখানে সীতাভোগ-মিহিদানা ও ল্যাংচা বিক্রেতারা ছিলেন। নতুনগ্রাম, খণ্ডঘোষের শিল্পীরাও হাজির ছিলেন। বরুণবাবু জানান, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা আগেই জিআই পেয়ে গিয়েছে। শক্তিগড়ের ল্যাংচা কী পদ্ধতিতে ‘জিআই’ পেতে পারে, কেন এই তকমা পাওয়া প্রয়োজন, সে সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ দিনের সভায় ল্যাংচার গুণমান বৃদ্ধি ও ল্যাংচা তৈরির সময়ে নিয়মনীতি মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: Varanasi: এবার কাশীর বিশ্বনাথের মন্দিরে প্রবেশেও মানতে হবে পোশাকবিধি, কেন জানেন?
কর্মশালায় হাজির ছিলেন জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী, আইআইটি-র অধ্যাপক প্রবুদ্ধ গঙ্গোপাধ্যায় ও নীহারিকা ভট্টাচার্য। সেখানে জানানো হয়, ল্যাংচার ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্য ও নথি দিয়ে ‘জিআই’ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। জেলাশাসক বলেন, “নতুনগ্রামের পেঁচা, খণ্ডঘোষের ফেজ টুপিও যাতে ওই তকমা পায়, সে জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হবে।’’ সেই সঙ্গে বালাপোশ, নকশিকাঁথার কাজেরও যাতে স্বীকৃতি মেলে,