শোভন বৈশাখী(Photo Credits: Social Media)

কলকাতা, ১৫ মার্চ: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে ফেলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সংযুক্ত মোর্চার জোটেরও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা প্রায় শেষের পথে। এদিকে বিজেপিতে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বেঁধেছে গোলমাল। নব্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে পুরোনো দলীয় নেতাদের মতবিরোধ চরমে উঠেছে। পছন্দের কেন্দ্রে টিকিট না পেয়েই যত সমস্যা। বিজেপিতে নতুন হলেও রাজনীতিতে পুরোনো শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chattopadhyay) বরাবর বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী। এদিকে বিজেপি সেই কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া তারকা প্রার্থী পায়েল সরকার। এই ঘটনাটেই দারুণ গোঁসা হয়েছে শোভনের বান্ধবী বৈশাখীর। প্রার্থিত আসন বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করা হয়নি শোভনকে। যেটাকে ‘চক্রান্ত’ ও ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মনে করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফেসবুকে রীতিমতো পোস্ট দিয়ে একথা জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে অপমান হিসেবেই দেখছেন তিনি। এদিকে শোভন-বৈশাখী জুটিকে নিয়ে বিজেপি-র অস্বস্তি নতুন নয়। অনেক মান-অভিমান পর্বও গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর দলীয় মঞ্চে পারিবারিক ‘কেচ্ছা’ টেনে আনেন। শোভনের একটি মন্তব্যের জন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি আলিপুর আদালতে মামলা করতে গিয়েছিলেন রায়দিঘির বিদায়ী বিধায়ক অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। তখন তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায় মতো মানুষেরা সামাজিক অস্বস্তি। পরিবার, সন্তানের কাছে, স্ত্রী-র কাছে যে আপন নয়, সে কত বড় নেতা! সে কি জনপ্রিয় নেতা হতে পারে! মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারে?” আরও পড়ুন-Mamata Banerjee Rally on Wheelchair Live: হুইলচেয়ারে মেয়ো রোডের সভায় প্রচারে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

শোভন বৈশাখীর এহেন প্রেম নিয়ে পদ্মশিবিরে অস্বস্তির শেষ নেই। তাই রবিবারের বারবেলায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্ট দেখে বিজেপি শিবিরে মতবিরোধ নয়, বরং স্বস্তির শ্বাস পড়েছে অনেকেরই। বজেপি নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, “অনেক হয়েছে। প্রেম, ভালবাসা নিয়ে ওঁরা থাকুন। রাজনীতি করতে হবে না। আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।” এদিকে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বৈশাখীর মন্তব্য, তিনি যা লিখেছেন সেটাই ওঁর প্রতিক্রিয়া। অন্য দিকে, বিজেপি-র পক্ষ থেকে এ নিয়ে কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। জানা গিয়েছে, শোভন-বৈশাখী প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন কিন্তু গেরুয়াশিবির যে অনমনীয় সেটা বুঝতে পেরেই দলের যাবতীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান তাঁরা।