Sougata Roy vs Sovan Chatterjee: ‘রবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে নেচেছি আবার ভোটেও জিতেছি, শোভনকে পাল্টা কটাক্ষ সৌগত রায়ের
শোভন ও সৌগত (Photo Credits: Social Media)

কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি: সমস্ত রকম গোঁসা মিটিয়ে এখন বঙ্গ বিজেপিতে জাঁকিয়ে বসতে তৎপর শোভন চট্টপাধ্যায়। সেই কাজে হাত দিয়ে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের একহাত নিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। আক্রমণটা ধেয়ে এল দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy) দিকে। বললেন, কলেজে কোনওদিন ক্লাস করে না! গত বছর জানুয়ারিমাসে দমদমে এসেছিলেন মোহরা ছবির নায়িকা রবিনা ট্যান্ডন। সেই সময় মঞ্চে তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত গান শুরু হলে, রবিনা সৌগতবাবুকে পা মেলানোর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রবীণ সাংসদ অভিনেত্রীর ডাককে সম্মান জানিয়ে। প্রকাশ্য মঞ্চে কোমর দোলান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আর এক তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসুও। এই ঘটনা সৌগত রায়ের রাজনৈতিক জীবনে কোনও পরিবর্তন আনেনি। তারপর ভোট হলে দমদমের মানুষ তাঁকে জয়ের আসনে বসিয়েছিল। আরও পড়ুন-Fire At Colony In Baghbazar: বাগবাজারে বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থানে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

কিন্তু এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে যখন সৌগতবাবুর অধ্যাপনা নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করলেন তখন তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন প্রবীণ রাজনীতিক। তিনি বলেন, আমরা যারা জনজীবনের সঙ্গে থাকি, তাদের এসব করতে হয়। আর শোভন কতদূর পড়াশোনা করেছে যে, আমার অধ্যাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে! আমি আশুতোষ কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর দিন থেকে এখনও পরিচালন সমিতির সভাপতি। যেখানে সব দলের অধ্যাপকরা আছেন। কেউ আপত্তি করেননি। তবে এখানেই শেষ নয় প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির প্রসঙ্গ টেনে সৌগত রায়কে আরও একবার আক্রমণ করতে ছাড়েননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে শক্ত হাতে সেই ফুলটস বলকেও বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই প্রার্থী করেছেন সেখানেই তিনি জিতেছেন। শোভন যেন সেটা মনে রাখে।

বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রাক্তন মেয়র। শোভনের দাবি, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি নয়, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঢাকুরিয়ার বাড়িতেও চিকিট চাইতে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। শোভনের কটাক্ষের জবাব দিতে মুহূর্তে দেরি করেননি কলকাতার মেয়র। তিনি বলেছেন, “আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূলে। শোভন পরে এসেছে। আলিপুরের মানুষ আবদার করতেই পারে। আবেগে যেতেই পারে। কিন্তু আমি যাইনি। আমার বাড়িতেও তো প্রচুর লোক আসে। আর আমি আমার জন্য কোনদিন কিছু চাইনি। শোভন যা জেনেছে, তা ভুল। কিন্তু এর জন্য তো আমি দল ছাড়িনি। প্রণবদার বাড়িতে কংগ্রেসের টিকিট চাইতে আমি যাইনি। বাড়িতে এমনিতেই গেছি। মমতাদির কাছেও কোন দিন টিকিট চাইনি। ও আসলে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। যেটা আছে তার দিকে তাকায় না।”