কলকাতা, ৪ জানুয়ারি: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন ক্রমশ এগিয়ে আসতেই রেল-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যে তৃণমূলকে সিংহাসনচ্যুত করতে একের পর ইস্যুতে বিঁধছে বিজেপি সরকার। পাল্টা অভিযোগ-দোষারোপের পালা চলছে উভয় তরফেই। রেলের (Indian Railway) বেসরকারিকরণ ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)। রাজ্যকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র, অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে রেল বাজেটে (Rail Budget) বাংলার বিভিন্ন রেলওয়ে প্রকল্প ১ হাজার টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়। সেই ইস্যুতেই কেন্দ্রকে নতুন বছরের শুরুতেই তোপ দাগলেন শশী পাঁজা। আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: ভারতে শুরু করোনার বিরুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রক্রিয়া, নরেন্দ্র মোদি
শিয়ালদহ কোচ মেরামত কারখানার জন্য ২০১৮-র রেল বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ১০০০ টাকা। আসানসোল এবং হাওড়ার কোচ ওয়াশিং ওয়ার্কশপের জন্য ২০১৯-র রেল বাজেটে যৌথভাবে কেন্দ্রের বরাদ্দ ১০০০ টাকা। লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা নতুন লাইনের জন্য ২০১৯ সালের রেল বাজেটে কেন্দ্র বরাদ্দ করে ১০ লক্ষ টাকা। বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথ সংস্কার, আলুয়াবাড়ি রোড-শিলিগুড়ি রেলওয়ে প্রকল্পেও এই একই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। দীঘা থেকে জলেশ্বর, কালিয়াগঞ্জ থেকে বুনিয়াদপুর পর্যন্ত রেললাইন, আরামবাগ থেকে চাপালডাঙা, আরামবাগ থেকে ইরফালা, ইরফালা-ঘাটাল, আরামবাগ- চাঁপাডাঙ্গা, ময়নাপুর-কামারপুকুর পর্যন্ত ইত্যাদি রেলের প্রকল্পে রেলপথ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এভাবেই রেলের ক্ষেত্রে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে কেন্দ্র।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় রাজ্যের রেলের অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রের অবহেলার জেরে মমতা ব্যানার্জি হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য যেসমস্ত রেলপ্রকল্প চালু করেছিলেন রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধের জন্য, সেই সমস্ত কাজ আজ থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শশী পাঁজা। তাঁর দাবি, রেলের আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। রেলের উন্নয়ন বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এককথায় পুরোপুরি থমকে গেথে। রেল পরিষেবা দেশের কাছে গর্বের কিন্তু আজ সেই রেল ব্যবস্থাই বেসরকারি হওয়ার পথে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে তুলোধনা শশী পাঁজার।