সোমবার রাতেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh Arrested)। টানা ১৫ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার পর অবশেষ ২ সেপ্টেম্বর আরজি করে আর্থিক অনিয়মের মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার সন্দীপ। মঙ্গলবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা এবং সিবিআই আধিকারিক বেষ্টিত হয়ে এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সন্দীপ। গাড়ি থেকে নামতেই ভিড়ের মধ্যে থেকে ধেয়ে আসে 'চোর চোর' স্লোগান। কোনরকমর ভিড় ঠেলে সন্দীপকে নিয়ে আদালতের ভিতরে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
প্রাক্তন অধ্যক্ষের সঙ্গেই সোমবার সিবিআই গ্রেফতার করে আরও তিনজনকে। গ্রেফতার হয় সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলি। এছাড়া আরজি করে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহকারী ব্যবসায়ী বিপ্লব সিংহ এবং এক ওষুধের দোকানের মালিক সুমন হাজরা। চারজনকেই মঙ্গলবার আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছে। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার অভিযুক্তের ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে সিবিআই (CBI) এদিন অভিযোগ তোলে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতির পিছনে একটি বড় নেক্সাস রয়েছে। সেই নেক্সাসের পর্দা ফাঁস করতে এবং বিশদ তদন্তের জন্যে চার অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
চোর স্লোগান, ভিড় থেকে আদালতে সন্দীপ...
#WATCH | West Bengal: RG Kar Medical College and Hospital's former principal Sandip Ghosh and 3 others brought to Alipore Judges Court in connection with RG Kar Medical College and Hospital financial irregularities case.
They were arrested by CBI anti-corruption branch last… pic.twitter.com/HEf0dbCUe6
— ANI (@ANI) September 3, 2024
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সময় যত পেরিয়েছে প্রতিবাদের আগুন তত জোরালো হয়েছে। সেই ঘটনার পর্যায়ক্রমে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিময়ের অভিযোগ সামনে আসে। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে উঠতে থাকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারি তহবিলের নয়ছয়, টেন্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, মেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি সহ একাধিক অভিযোগ। চিকিৎসা ব্যবপস্থায় দুর্নীতির গোটা নেক্সাসটার উপর থেকেই এখন পর্দা সরাতে চাইছে সিবিআই।