RG Kar Doctors Protest (Photo Credits: ANI)

আরজি করে (RG Kar Medical College and Hospital) মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা প্রায় ১ মাস হতে চলল তদন্তের কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছে না আন্দোলনকারীরা। এখনও অধরা প্রকৃত দোষীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও। সুবিচারের দাবিতে শনিবার রাজভবন অভিযানের ডাক দেয় জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন। নীলরতন সরকার হাসপাতাল থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলনকারীদের মিছিল। গন্তব্য রাজভবন। চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি জমা দেবেন। আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে শনির মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। তবে নবীনদের পাশাপাশি মিছিলে হাঁটলেন প্রবীণ চিকিৎসকেরাও। হাঁটলেন নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। মিছিলে যোগ দিয়েছেন নাগরিক সমাজও। দাবি একটাই আরজি কর-কাণ্ডের সুবিবার।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছিল। সেই পথ চেয়েই বসেছিলেন গোটা রাজ্য। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডি ওইয়াই চন্দ্রচূড়ের অসুস্থতার কারণে সেই তারিখ পিছিয়ে সোমবার শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারের দাবিতে ব্যকুল আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা তাই এবার রাজ্যপালের শরণাপন্ন হয়েছেন। রাজ্যপাল একমাত্র ব্যক্তি যিনি কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেন। তাই আরজি করের ঘটনার রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে শনিতে রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে নবীন, প্রবীণ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, নাগরিক সমাজের এই মিছিল রাজভবনের আগেই থামিয়ে দেওয়া হবে। কারণ রাজভবনের বাইরে জমায়েতের অনুমতি নেই। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল রাজভবনে দিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা করবে।

এদিকে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। এবার সন্দীপকে শো-কজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপের বিরুদ্ধে আরজি করে আর্থিক অনিয়ম, চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শনিবার কারণ দর্শানোর পাঠিয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে জবাব তলব করেছে কাউন্সিল। জানানো হয়েছে, ব্যাখা সন্তোষজনক না হলে সন্দীপের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে। এছাড়া সন্দীপ ঘনিষ্ঠ তিন চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিককে সাসপেন্ড করেছে কাউন্সিল।