Sukhendu Sekhar Ray, Kunal Ghosh (Photo Credits: X)

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার শাসক দলের অন্দরেই বিরোধ বাঁধল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) কাছে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের (Vineet Kumar Goyal) গ্রেফতারির দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Ray)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ (Sandip Ghosh) এবং সিপি-কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তবে সাংসদের এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সুখেন্দুর টুইটের জবাবে কুণাল বলেন, 'আমিও আরজি কর কাণ্ডের সুবিচার চাই। কিন্তু পুলিশ কমিশনারকে ঘিরে যে সমস্ত অভিযোগ উঠছে না আমি মানে পারছি না'।

আরজি করের সেমিনার রুম থেকে যখন জুনিয়র তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় তখন তাঁর পরিবারের কাছে প্রথমে বিষয়টিকে পুলিশ আত্মহত্যা বলেছিল, অভিযোগ মৃতার বাবা-মা। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতেই ঘটনাস্থল অর্থাৎ সেমিনার হলের পাশে সংস্থারের কাজ হচ্ছিল বলে একাধিক ছবি ভিডিয়ো উঠে এসেছে সমাজমাধ্যমে। শুরু থেকেই আরজি কর ঘটনার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল। এবার কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুললেন তৃণমূলেরই সাংসদ সুখেন্দুশেখর। শনিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'সিবিআইকে সুস্থ তদন্ত করতে হবে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং সিপি-কে হেফাজতে নিয়ে CBI জিজ্ঞাসাবাদ করুক। কারা এবং কী স্বার্থে আত্মহত্যার কথা রটানো হয়েছিল? কেন দেওয়াল ভেঙে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছিল? কাদের হাত রয়েছে সন্দীপ ঘোষের মাথায়? কেন ৩ দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ আনা হল? এরকম শতাধিক প্রশ্ন রয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করুণ'।

সাংসদের টুইটের পালটা জবাব দিলেন দলের নেতা কুণাল ঘোষ। লিখলেন, 'আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি হোক তা আমিও চাই। কিন্তু পুলিশ কমিশনারকে ঘিরে তোলা অভিযোগ আমি মানতে নারাজ। তিনি তাঁর সর্বস্ব দিয়ে তদন্তের কাজ চালিয়েছেন। তাই আমার সিনিয়র নেতার কাছ থেকে এই ধরণের পোস্ট খুবই দুর্ভাগ্যজনক'।

সুখেন্দুশেখর এবং কুণালের টুইট... 

আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে ইতিমধ্যেই মেরুকরণের ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। দলীয় সূত্রে খবর, সরকারের একের পর এক 'ভুল' পদক্ষেপে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেই কারণেই শুক্রবার দোষীদের ফাঁসি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মিছিলেও দেখা যায়নি অভিষেককে।