কলকাতা, ২৩ অগাস্ট: ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুন (Kolkata Doctor Death) মামলায় গর্জে উঠতে শুরু করেছে গোটা দেশ। আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar) অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে বর্তমানে জোরদার জেরা শুরু করেছে সিবিআই। সঞ্জয়কে শুক্রবার আদালতে তোলা হলে, তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) শাস্তির দাবিতে মানুষ যখন ফুঁসছেন, সেই সময় তার সম্পর্কে আরও একাধিক তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সঞ্জয়ের রায়ের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ভবানীপুরের বাসিন্দা মালতী রায় জানান, সঞ্জয় তাঁর সঙ্গেই থাকত। তবে ইদানিং পুলিশ ব্যারাকে বেশি করে থাকতে শুরু করে। সঞ্জয় কিছু করেনি বলে তার মায়ের দাবি। সঞ্জয়কে ফাঁসানো হয়েছে। তাই যারা সঞ্জয়কে ফাঁসিয়েছে, তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত বলে দাবি করেন চিকিৎসক খুনে অভিযুক্তর মা। বাবার মৃত্যুর পর থেকে সঞ্জয় সংসার চালিয়েছে। সে কোনওদিন মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি বলেও দাবি করেন ওই প্রৌঢ়া।
প্রসঙ্গত গত বছর সঞ্জয় রায়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু হয় বলে খবর। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি শান্তি নামে এক মহিলাকে বিয়ে করে সঞ্জয়। ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সঞ্জয়ের স্ত্রীর মৃত্যু হয় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে। যদিও সঞ্জয়ের শাশুড়ি জানান, মদ্যপ অবস্থায় সঞ্জয় স্ত্রীকে মারধর করত। একবার নয়, পরপর ২বার বিয়ে করে সঞ্জয়।
সঞ্জয় রায়ের ভবানীপুরের বাড়ির পড়শিরাও তার সম্পর্কে ভাল কথা বলেননি। বেশিরভাগের দাবি, সঞ্জয় মেয়েদের দিকে কুনজর দিত। সঞ্জয় এলাকার কোনও মেয়ের দিকে তাকালে, তিনি সেখান থেকে সরে যেতেন বলে খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীর উপর পাশবিক অত্যাচার এবং নৃশংস খুনের আগে সঞ্জয় যৌনপল্লীতে যায়। এমনকী সঞ্জয় পর্নোগ্রাফিতেও অত্যাধিক আসক্ত ছিল বলে সিবিআয়ের সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।