কলকাতা, ২৯ অগাস্ট: গত ৯ অগাস্ট রাতে আরজি করের (RG Kar) সেমিনার রুমে নির্মমভাবে ধর্ষণের পর খুন করা হয় চিকিৎসক তরুণীকে। ৯ অগাস্টের ঘটনার পর ১০ অগাস্ট সকাল ১১টা নাগাদ ওই চিকিৎসক (Doctor Death) তরুণীর বাড়িতে ফোন করা হয় হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালের অ্যাসিট্যান্ট সুপার নাম নিয়ে ফোন করা হয় খুন হওয়া চিকিৎসকের বাড়িতে। জানানো হয়, 'আপনার মেয়ে খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আসুন'। যার উত্তরে খুন হওয়া চিকিৎসকের বাড়ি থেকে পালটা জিজ্ঞাসা করা হয়, 'কী হয়েছে?' এমনকী 'ওর কি জ্বর হয়েছে' বলেও চিকিৎসকের বাড়ি থেকে অ্যাসিট্যান্ট সুপার নাম নিয়ে ফোন করা মহিলাকে পালটা প্রশ্ন করা হয়। যার উত্তরে হাসপাতাল থেকে ফোন করা মহিলা জানান, 'যা বলার চিকিৎসকরা বলবেন'।
এরপর ওই চিকিৎসকের বাড়ির লোককে জানানো হয়, 'উনি হয়ত আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। হাসপাতালে পুলিশ এবং চিকিৎসকরা রয়েছেন।' যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনারা চলে আসুন বলে জানানো হয়। (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি লেটেস্টলি ডট কম)
প্রসঙ্গত চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তরফে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় সঞ্জয় রায় ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীর উপর অত্যাচার এবং খুনের কথা স্বীকার করে। পরে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাত থেকে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সঞ্জয়কে জেরা চললেও, আর কাউকে এ বিষয়ে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।