Mamata Banerjee. (Picture Source: ANI)

কলকাতা, ১ ডিসেম্বর: জয় যতটা সহজ মনে হয়েছিল, ততটা কি হবে ? হ্যাঁ, এখন এই প্রশ্নই ঘোরাঘুরি খাচ্ছে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বাসভবন। এবার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী (TMC Candidate) হয়েছেন তাঁরই ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত ২ বারের জয়ী তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। আর তারপরই কপালে ভাঁজ পড়েছে তৃণমূল সমর্থকদের।

নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার নেমে পড়েন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রচারে প্রথম থেকেই দেখা যায়নি রতনকে। আর মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই টেস্ট, নয়া নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ 

কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হওয়ার পাশাপাশি, বরো-৯-এর চেয়ারম্যানও তিনি। সেই রতনই স্বয়ং প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি স্বেচ্ছায় নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছি। কারও বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না।’’

গত পুর নির্বাচনে ৩৯ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে বাদ দিয়েই এবার কলকাতার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর এরপর থেকেই বিক্ষুব্ধদের তালিকা বাড়ছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পার্থ মিত্র দল বদলে কংগ্রেসের মনোনয়নও পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি ফিরহাদ হাকিমের পাশে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন তিনিই তৃণমূলেই রয়েছেন।

ভবানীপুর বিধানসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে এই কেন্দ্র থেকে জিতেই কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে গতবার বিজেপির অসীম বসুর কাছে পরাজিত হয় সচ্চিদানন্দবাবু। পরে অসীম বসু তৃণমূলে যোগদেন। এবারও ওই কেন্দ্রে ঘাস-ফুল প্রার্থী তিনি।