ভার্চুয়াল জনসভায় নরেন্দ্র মোদি (Picture Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ২৩ এপ্রিল: রাজ্যে সপ্তম দফা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে বীরভূম, কলকাতা, মালদা ও মুর্শিদাবাদের ৫৬ আসনে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের কারণে বাংলায় প্রচারে আসতে পারেননি তিনি। তাই চার জেলার ৫৬ বিধানসভা এলাকায় ভার্চুয়াল বক্তব্য সম্প্রচারের জন্য ব্যবস্থা করে বিজেপি। সেইমতোই আ বক্তব্য রাখেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য অনুযায়ী-

  • আমি মালদা মুর্শিদাবাদ সিউড়ি এবং দক্ষিণ কলকাতার মতপ্রদানকারীদের এবং বিজেপির কার্যকর্তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
  • করোনার এই পরিস্থিতির জন্য আজ আমি আপনাদের সামনে এসে আপনাদের আশীর্বাদ নিতে পারিনি, টেকনোলজির মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছি।
  • বাংলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে আমি এটুকু স্পষ্টভাবেই বুঝতে পেরেছি যে বাংলায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নারী-পুরুষ এমনকি শহর-গ্রাম নির্বিশেষে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে সোনার বাংলা তৈরির প্রকল্প গড়ে উঠেছে।
  • পশ্চিমবাংলার এই নির্বাচন কেবল ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য নয় বরং এই নির্বাচনের মাধ্যমে এক আশাবাদী পশ্চিমবঙ্গ গড়ে উঠবে।
  • গ্রাম থেকে শহর প্রত্যেক জায়গায় উন্নত জীবন, উন্নত শিক্ষা, উন্নত রোজগার এবং বিকল্পের জন্য চাহিদা দেখতে পাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গে শান্তি সুরক্ষা এবং বিকাশের চাহিদা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
  • বিজেপি বাংলার যুবকদের দেবে চাকরি।
  • বিজেপি বাংলার মা-বোনেদের দেবে সুরক্ষা, বিজেপি বাংলার জনগণকে দেবে দুর্নীতিমুক্ত শাসন।
  • বিজেপি বাংলার চাষীদের দেবে সমৃদ্ধি।
  • মালদা মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূম আর কলকাতা পর্যন্ত প্রত্যেকেই চায় যে পশ্চিমবাংলার সেই পুরনো গৌরব ফিরে আসুক।
  • বন্ধুরা সুস্বাস্থ্য ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব আর বিশুদ্ধ পানীয় জল ছাড়া সুস্বাস্থ্য সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেকটি গৃহে পাইপের সাহায্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছানো বিজেপির গুরুদায়িত্ব।
  • সুস্বাস্থ্যের সাথে সাথে শিক্ষা আর শিল্প এই দুটো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই সোনার বাংলার নির্মাণ সম্ভব।
  • অনুপ্রবেশকারী, তুষ্টিকরণ, অবৈধ কার্যকলাপ,হিংসা, তোলাবাজি এগুলি বিকাশের শত্রু।
  • এখানে কৃষি আধারিত শিল্প গড়ে উঠুক সেই কারণেই কেন্দ্র সরকার প্রয়াস শুরু করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনায় ১৮ হাজার টাকা বাংলার প্রত্যেকটা কৃষক যাতে পান, সরকার গড়ে ওঠার সাথে সাথেই কাজ শুরু হবে।
  • আত্মনির্ভর ভারত গড়তে গেলে কৃষকদের স্বনির্ভর হতে হবে।
  • এই জন্যই কৃষক রেলের সূচনা করা হয়েছে।
  • কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি চালু করেছে।
  • মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং কলকাতা প্রত্যেকটা জেলার প্রত্যেকটা শহরের নিজস্ব ক্ষমতা আছে, এই ক্ষমতা সোনার বাংলার প্রেরণা হয়ে উঠবে।
  • কলকাতাকে সবাই চেনে সিটি অফ জয় হিসেবে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কলকাতাকে সিটি অফ ফিউচার হিসেবে বিকশিত করা হবে।
  • পশ্চিমবঙ্গ আবার আত্মনির্ভর ভারতের একটা মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে, আর এই জন্যই এখানে আসল পরিবর্তন চাই।
  • গ্রাম হোক বা শহর নিজেদের পাকা বাড়ি প্রত্যেকটা পরিবারের স্বপ্ন হয়, বিজেপি সরকার প্রত্যেক গরীবকে নিজের বাড়ির স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য সততার সঙ্গে কাজ করে চলেছে।
  • বিগত বছরে ২ কোটিরও অধিক বাড়ি আমাদের সরকারের দ্বারা গরিবদের জন্য গোটা দেশে নির্মাণ করা হয়েছে।
  • দেশে রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে।এবার বাংলাতেও তার প্রতিফলন প্রয়োজন, তবেই হবে বাংলায় উন্নয়ন।
  • বাংলার অনেকাংশে ডেঙ্গু খুব বড় সমস্যা।
  • এই ডেঙ্গুর সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নেবে বিজেপি।
  • সরকার গড়ে ওঠার সাথে সাথে প্রথম দিন থেকে আমাদের সংকল্প পত্রের প্রতিটি বিষয়ের উপর প্রাধান্যের সাথে কাজ শুরু করা হবে।
  • বাংলা জিতবে, বিজেপি জিতবে, আমরা সবাই জিতবো। বাংলা লড়বে, বাংলা এগিয়ে যাবে, সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
  • বাংলা জিতবে, বিজেপি জিতবে, আমরা সবাই একসঙ্গে জয় যুক্ত হব। বাংলা অবশ্যই অনেক আগে এগিয়ে যাবে, আমরা সোনার বাংলা অবশ্যই গড়ব।