কলকাতা, ২২ মে: সকাল ১০টা বেজে ৪৯ মিনিটে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ঠিক ২০ মিনিট আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে বিশেষ হেলিকপ্টারে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করবেন। রাজ্যের উদ্যোগেই এই এক ঘণ্টার আকাশপথ সফরের আয়োজন হয়েছে। এই একঘণ্টায় দুই ২৪ পরগনার আম্ফান বিধ্বস্ত এলাকা একযোগে পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ইতিমধ্যেই তাঁরা রওনা হয়ে গিয়েছেন। রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরি এবং রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। আধঘণ্টার মধ্যে বসিরহাট কলেজের মাঠের হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে নিয়ে নামবে বিশেষ হেলিকপ্টার।
এদিন বিমানবন্দরে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানান, আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জেলার বিশদ বিবরণ আজ প্রধানমন্ত্রী কাছে পেশ করবেন তিনি। এই জেলাগুলির মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হবে। যাবতীয় খতিয়ান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। আরও পড়ুন- RBI Slashes Repo Rate: করোনা মোকাবিলায় ঋণ নেওয়ার পথকে সরল করতে ৪০ বেসিস পয়েন্টে রেপো রেট কমালো রিজার্ভ ব্যাংক
PM Narendra Modi received by West Bengal CM Mamata Banerjee and Governor Jagdeep Dhankhar on arrival at Kolkata Airport. The PM will be conducting an aerial survey of the areas affected by #CycloneAmphan. pic.twitter.com/efrNAog2Sd
— ANI (@ANI) May 22, 2020
খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে টিনের চাল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই জেলাকে তছনছ করে দিয়েছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়। সরকারি তরফে কোনরকম সাহায্য পাননি, এমনটাই দাবি করেছেন ইছামতী লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। উত্তর ২৪ পরগনায় বড় বড় গাছ পড়ে বন্দ হয়েছে যশোহর রোড। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে যতদূর চোক যায় শুধু ধ্বংসলীলার ছবি। নষ্ট ঘটবাড়ি ও নষ্ট মাঠের ফসল। বিধ্বস্ত বকখালি এলাকাও। দোকানের ছাদ নেই। সুন্দরবনের এসপি অফিসে ও আম্ফানের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পায়নি। ভেসে গিয়েছে কচুবেড়িয়া জেটি। বিপর্যস্ত যান চলাচল। ক্যানিং হাসপাতালের টিনের শেড উড়ে গিয়েছে। আম্ফানের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়েছে খড়গপুর স্টেশনের বোর্ড, স্কুলের টিনের চাল, বাড়িঘর, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় জলের জোগান বন্ধ। রাস্তা ঘাট আটকে রয়েছে কলকাতায় দুদিনের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরলেও জেলায় পরিষেবা স্বাভাবিক হতে প্রায় এক সপ্তাহ লাগবে।