লকডাউনের ফলে নিস্তব্ধতা (Representational Image.(Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১ মে: করোনাভাইরাস (Croronavirus) অতিমারীর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry) সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জেলাগুলিকে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে (Red, Orange and Green Zones) ভাগ করেছে। দেশে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন রয়েছে যথাক্রমে ১৩০, ২৮৪ এবং ৩১১। দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বই - এই চারটি প্রধান মহানগর রেড জোন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তালিকা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এখানে রেড জোন ১০টি, অরেঞ্জ জোন ৫টি এবং গ্রিন জোন ৮টি। যদিও রাজ্যের দাবি, পশ্চিমঙ্গে মাত্র ৪টি জেলা রেড জোনে। সেগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের তরফে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব বিবেক কুমার (Vivek Kumar)। চিঠিতে তালিকা ঠিক করে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, সংশোধিত রেড-অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনের তালিকা। সেই তালিকা অনুযায়ী রাজ্যের ১০ টি জেলা রেড জোন ভুক্ত, ৫টি অরেঞ্জ এবং ৮টি গ্রিন জোন ভুক্ত। কেন্দ্রের নয়া তালিকা অনুযায়ী গোটা দেশে ১৩০ টি জেলা রেড জোনে, ২৮৪ টি অরেঞ্জ জোনে এবং ৩১৯ টি গ্রিন জোন ভুক্ত। আরও পড়ুন: Coronavirus: রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, দেখে নিন রাজ্যের কোন জেলা কোন জোনে

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদানের (Preeti Sudan) চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে কেন্দ্র সংক্রমণের হার, কতদিনে সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, কতজন ব্যক্তি সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসছেন, তা পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোনও এলাকাকে পুরোপুরি সংক্রমণমুক্ত ঘোষণা করতে গেলে মানতে হবে কেন্দ্রের গাইডলাইন। একতরফাভাবে রাজ্য কোনও এলাকাকে গ্রিন জোন ঘোষণা করতে পারবে না। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২১ দিন কেউ আক্রান্ত না হলে তবেই সেই এলাকাকে গ্রিন জোন বলা যাবে। তবে অরেঞ্জ অথবা রেড জোন চিহ্নিত করতে পারবে রাজ্য নিজেই। রাজ্য স্থানীয় তথ্যের উপর ভিত্তি করে আরও এলাকা যুক্ত করতে পারে। কিন্তু এই তালিকা থেকে কোনও এলাকা বাদ দিতে পারবে না।