রানাঘাট, ১১ জানুয়ারি: স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ফেরালে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। রানাঘাটের জনসভা থেকে এবিষয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নির্দেশ না মানলে কড়া শাস্তির বিষয়ও রয়েছে সেটা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রায় নির্দেশের সুরে বলেন, “অনেক বড় বড় হাসপাতাল বলছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড এখানে চলবে না। তাদের বলছি চালাতে হবে। জেলার ছোট ছোট নার্সিংহোম গুলো আছে। তাদের বলছি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা দিতে। মনে রাখবেন লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা সরকারের আছে।আপনাদের বলছি, কেউ যদি(নার্সিংহোম) আপনাদের হেনস্তা করে তাহলে একটা এফআইআর করবেন। বাকিটা সরকার দেখে নেবে। যদিকোনও সমস্যা থাকে তাহলে তা মেটাতে হবে। তবে রোগীর পরিষেবা যেন কোনওভাবেই ব্যাহত না হয়।”
মেয়াদের শেষবেলায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নিয়ে বড়ই তৎপর রাজ্য। দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করাতেই ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ক্যাম্পগুলিতে মানুষ সবথেকে বেশি আসছে। ভোটের আগে তাই এই প্রকল্পের পরিষেবা পেতে মানুষকে যাতে হয়রানি পোহাতে নাহয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে রাজ্যপ্রশাসনের। গত ৫ জানুয়ারি এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গুরুত্ব বোঝাতে নিজে রীতিমতো ক্যাম্পে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনদুয়েক আগেই এই লক্ষ্যে জেলার সমস্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিএমওএইচদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় যে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে সবাই যাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পায় তা দেখতে হবে। প্রয়োজনে জেলায় জেলায় মানুষরে সহযোগিতায় বাড়ানো হবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের হেল্পডেস্ক। আরও পড়ুন-Exhibition on Soumitra Chatterjee: ‘অপুর সংসার’ থেকে ‘ময়ূরাক্ষী,’ কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের অঙ্গনে এবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজের প্রদর্শনী
এদিন NRC প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সবাইকে ভালবাসি। মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য বোর্ড তৈরি করে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। উদ্বাস্তু কলোনিগুলোর জন্য এতদিন কেউ কিছু করেনি। উদ্বাস্তুদের দলিল দেব আমরা। ৯৬টি কলোনি ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন। নদিয়ার জন্য ডিড তৈরি হচ্ছে।” একই সঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, “তৃণমূলে গেলে সব কালো। আর বিজেপিতে গেলে সব ভাল। তৃণমূলে গেলে সব ঘষটা সাবান। আর বিজেপিতে গেলে সব সানলাইট পাউডার ওয়াশিং মেশিন।ভোট এলেই বলবে সব চাকরি করে দেব। মতুয়াদের নাগরিক করে দবে। আর ভোট চলে গেলে সবাই ডুগডুগি বাজিয়ে পালিয়ে যাবে। পরিষ্কার বলছি এনআরসি করতে দেব না। এনপিআর করতে দেব না নিশ্চিন্তে ঘুমোন মায়ের কোলে।”