Netai Massacrer Update: নেতাই মামলার অভিযুক্তের বন্দুক হদিশ দিল অস্ত্রপাচার কাণ্ডের

সিপিএম দলের (CPM) এক সদস্য নেতাই গণহত্যা মামলার (Netai Massacre) অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে ন’বছর যাবৎ কারাগারে (Jail) বন্দি হিসেবে রয়েছে। বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক এখন বন্দি মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে (Medinipur Central Jail)। পুরুলিয়ার কেন্দা এলাকা থেকে অশ্বিনীর ওই বন্দুকসহ সেই সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তারপরেই ফাঁস হয়েছে লালগড় থানার (Lalgarh Police Station) মালখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ঘটনা।

নেতাই মামলার অভিযুক্তের বন্দুক হদিশ দিল অস্ত্রপাচার কাণ্ডের

নেতাই, ২৮ জানুয়ারি: সিপিএম দলের (CPM) এক সদস্য নেতাই গণহত্যা মামলার (Netai Massacre) অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে ন’বছর যাবৎ কারাগারে (Jail) বন্দি হিসেবে রয়েছে। বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক এখন বন্দি মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে (Medinipur Central Jail)। পুরুলিয়ার কেন্দা এলাকা থেকে অশ্বিনীর ওই বন্দুকসহ সেই সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তারপরেই ফাঁস হয়েছে লালগড় থানার (Lalgarh Police Station) মালখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ঘটনা।

বন্দুকটি একটি দোনলা বন্দুক (Fire Weapons)। লুধিয়ানার ইম্পিরিয়াল আর্মস কোম্পানির তৈরি। বন্দুকের নম্বর এ/৩-৩১৮১। বৈধ ওই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নম্বর ৪০/০৮। লাইসেন্সধারী বা বন্দুকের মালিকের নাম অশ্বিনী চালক। তবে তদন্তকারীদের বক্তব্য, নেতাই গণহত্যা ও তাতে অশ্বিনীর গ্রেফতারির সঙ্গে এই আগ্নেয়াস্ত্রের কোনও সম্পর্ক নেই। ভোটের সময়ে লাইসেন্সড অস্ত্র থানায় জমা দিতে হয়। সেইমতো অশ্বিনীর স্ত্রী মামণি চালক ২০১১ সালের ১ মার্চ লালগড় থানায় বন্দুকটি জমা দেন। তার দু’সপ্তাহ আগে, সে বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডের (Medinipur Bus Stand) কাছে গ্রেফতার হয়েছিলেন লালগড়ের চুনপাড়া গ্রামের অশ্বিনী। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএমের সশস্ত্র যোদ্ধাদের শিবির থেকে ছোড়া গুলিতে ন’জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হন। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। অশ্বিনীর স্ত্রীর জমা দেওয়া অস্ত্রটি আরও ১৭টি বন্দুকের মতো গায়েব হয়েছিল লালগড় থানার মালখানা থেকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ১২ জানুয়ারি কেন্দা এলাকা থেকে গাড়িতে করে অন্তত একটি আগ্নেয়াস্ত্র বিহারের (Bihar) উদ্দেশে পাচার করার খবর পেয়ে তা উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িটি আটক করায় তার ভিতরেই অস্ত্র কারবারি চণ্ডীকে পাওয়া যায়। গাড়ির সিটের নীচে বন্দুক রাখার জন্য রীতিমতো খাপ তৈরি করা ছিল। তাতেই ছিল দোনলা বন্দুকটি। কিন্তু কার বন্দুক, কী তার উৎস? তা জানা সম্ভব হয়নি। পরে চণ্ডীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, লালগড় থানার তদানীন্তন সাব-ইনস্পেক্টর তারাপদ টুডু ওই অস্ত্র কারবারিকে একটি ভুঁয়ো ট্রানজিট লাইলেন্স (Fake Transit Licence) বানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ভুঁয়ো নথিতেই (Fake Documents) ছিল অস্ত্রের প্রকৃত নম্বর ও লাইসেন্স নম্বর। সেই সূত্র ধরে এগিয়ে এসটিএফ জানতে পারে, দোনলা বন্দুকটির মালিক লালগড়ের সিপিএম সদস্য অশ্বিনী চালক। আরও পড়ুন: লাহোর বিমানবন্দরে চলল গুলি, মৃত ১, আহত ২

তবে ২০১১ সালের ১ মার্চ অশ্বিনীর স্ত্রী মামণি চালক লালগড় থানায় ওই দোনলা বন্দুকটির সঙ্গে ১৩টি কার্তুজও জমা দিয়েছিলেন (জিডিই নম্বর ২১/১১)। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, বেঙ্গল এসটিএফ (Bengal STF) কিন্তু অশ্বিনীর পাচার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে ওই সব কার্তুজের একটিও পায়নি।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now