কলকাতা, ৩০মে: বাংলায় মৃত বিজেপির কর্মী সমর্থকের পরিবারকে শপথ অনুষ্ঠানের সামনের সারিতে বসিয়ে নজির গড়লেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) লনে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন বাংলা থেকে আগত ৫৪জন মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারবর্গ। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁদের বসিয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নয়া বার্তা দিল বিজেপি, বাংলা যে মোদি-শাহের গুরুত্বের বিচারে বেশ উপরেই থাকবে তা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হয়নি।
উল্লেখ্য, এই কারণেই নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে প্রথমে রাজনৈতিক সৌজন্যতাবশে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়া মনস্থ করে ফেলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্ত যেইনা শুনলেন, বাংলায় মৃত ৫৪ জন বিজেপি কর্মীর পরিবারবর্গকেও মোদির শপথে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তখনই তিনি পিছু হটেন। সাফ জানিয়ে দেন, শপথ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করার জন্য নোংরা রাজনীতি করছেন মোদি। যাইহোক, তাতে মোদি-শাহর কিছু এসে যায়নি। বুধবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়ে যায় ওই দলটি। দলে প্রায় শতাধিক আমন্ত্রিত ছিলেন, তাঁদের কালীবাড়িতেই থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে দিল্লিতে অবস্থিত বিজেপির সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকেই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মৃত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। শাসকদলের কি ধরণের অত্যাচার তাঁরা সহ্য করেছেন তার বর্ণনা দেওয়া হয়। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শেষে মৃত বিজেপি কর্মীদের আত্মার শান্তিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সেখান থেকেই সবাইকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের সারিতে তাঁদের বসার ব্যাবস্থা হয়েছিল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে। বাংলাকে প্রথম সারিতে এনে বিজেপি যে আগামী বিধানসভাকে টার্গেট করতে চলেছে তা স্পষ্ট। এরপর মৃত কর্মীদের পরিবারবর্গরা রাষ্ট্রপতি ভবনের নৈশভোজে অংশ নেন।