বকেয়া ডিএ মেটানো, যোগ্যদের চাকরিতে পূনর্নিয়োগ সহ নানা দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সহ একাধিক সংগঠন, আজ ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে। হাওড়া স্টেশনে বেলা ১২ টা নাগাদ জমায়েত হয়ে নবান্নের দিকে তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। এদিকে, এই মিছিলের জন্য পুলিশের তরফ থেকে কোনোরকম অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি,আদালত’ও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি জানিয়েছেন।
গনতান্ত্রিক উপায়ে মিছিলে বাধা দিলে পুলিশ অগণতান্ত্রিক কাজ করবে বলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য আহ্বায়ক অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতায় আসা বিক্ষোভকারীদের হাওড়া স্টেশনে যাতে কোনও রকম হেনস্থার মুখে না পড়তে হয় সেই বিষয় নিশ্চিত করতে, গতকাল হাওড়া স্টেশনে যান। তিনি রেল আধিকারিক, আরপিএফ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।বৈঠক শেষে বিরোধী দলনেতা জানিয়ে দেন যে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বিক্ষোভকারীদের যদি রাজ্য বা কলকাতা পুলিশ কোনও ভাবে হেনস্থা করে, তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যে এসে তাঁরা প্রতিবাদে যোগ দেবেন।
২৮ জুলাই নবান্ন অভিযান....সামিল হোন সবাই, সব স্তরের সরকারি কর্মচারীরা শান্তিপূর্ণভাবে । প্রতিবারের @WBPolice মিথ্যে প্রচার বন্ধ করুন pic.twitter.com/RKrim70RsS
— Sanmoy Banerjee (@BanerjeeSanmoy) July 27, 2025
সূত্রের খবর প্রশাসনের তরফে ফোরশোর রোড-সহ হাওড়া স্টেশন থেকে নবান্ন যাওয়ার একাধিক জায়গায় থাকছে পুলিসি ব্যারিকেড। প্রথম ব্যারিকেড হাওড়া রেল মিউজিয়ামের কাছে নাগাবাবা আশ্রমের সামনে; দ্বিতীয় ব্যারিকেড আশ্রম থেকে কিছুটা দূরে-- এটি প্রায় ১০ ফুটের ব্যারিকেড; তৃতীয় ব্যারিকেড ফোরশোর রোডে-- সেখানেও ১০ ফুটের ব্যারিকেড। ফোরশোর রোডের ব্যারিকেড মজবুত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। লোহার বিম মাটিতে পুঁতে নাট দিয়ে লোহার পাত আটকানো হচ্ছে। যাতে কোনো ভাবেই ব্যারিকেড ভেঙে যৌথমঞ্চের বাহিনী নবান্ন পর্যন্ত যেতে না পারে। লোহার বিম ঢালাই করে ফোরশোর রোডে রামকৃষ্ণপুর ঘাট মোড়ে বসানো হয়েছে। রাস্তায় ড্রিল মেশিন দিয়ে গর্ত করে গজাল দিয়ে মজবুত করে বসানো হয়েছে এই ব্যারিকেড। থাকছে প্রচুর পুলিস ও ব়্যাফ, জলকামান। কোনো ভাবেই জমায়েত হতে দেবে না পুলিস-- এমনটাই পুলিসসূত্রে খবর।