কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর: ফের রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee) এবং ডিজিপি বীরেন্দ্রকে (DGP) তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home affaire)। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তাঁদের হাজির হতে বলা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতেই এই তলব। যদিও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে এই মুহুর্তে কোনওভাবেই ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবকে দিল্লি যাওয়ার জন্য ছাড়া যাবে না। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন পুলিশকর্তাকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পোস্টিং করা হল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীণ ত্রিপাঠীকে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র সীমাবলে ডেপুটেশনে পাঠানো হচ্ছে। তাঁর ডেপুটেশনের মেয়াদ ৫ বছর। পাঁচ বছরের জন্য ইন্দো টিবেট বর্ডার পুলিশের আিজি পদে পাঠানো হচ্ছে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ রাজীব মিশ্রকে। একইভাবে তিন বছরের জন্য ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ বিপিআরডি-তে পাঠানো হচ্ছে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডেকে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানতে পেরেই বিষয়টিকে অসাংবিধানিক বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: শুভেন্দুর দলত্যাগের পর কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি বলেন, “এ অসাংবিধানিক, কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” এরপরই টুইটের সিরিজে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, নবান্নের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের তিন আইপিএসকর্তাকে যেভাবে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে বদলি করল তা ক্ষমতার জঘন্য অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। আইপিএস ক্যাডার রুল ১৯৫৪-র জরুরি ধারায় তাঁদের বদলি করা হয়েছে।
এমন অসাংবিধানিক কাজ কখনওই মেনেনেওয়া যায় না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের এক্তিয়ারে নাক গলিয়ে কেন্দ্রের সরকার পশ্চিমবঙ্গ কর্মরত অফিসারদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মৌলিক শর্তকে লঙ্ঘন করে। অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে পশ্চিমবঙ্গ কখনওই মাথা নোয়াবে না। রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে নিজেদের মতো করে চালানোর যে চেষ্টা কেন্দ্র করছে, তা কখনউই বরদাস্ত করা হবে না।