
শেষমেশ অটো নিয়েও জালিয়াতি হচ্ছে কলকাতায়। অটোমালিকদের নথিপত্র নিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণ। এবং সেই টাকা না মেটানোয় ফিনান্স সংস্থা বাজেয়াপ্ত করছে অটোগুলি। বুধবার এই অভিযোগে মোট ৩টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত ও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ফিনান্স সংস্থার এজেন্ট রয়েছেন বলে খবর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার (Maheshtala Police Station) পুলিশ। সূত্রের খবর, এই চক্রের শিকড় আরও গভীরে চলে গিয়েছে। সম্ভবত শহরের আরও অনেক রুটে এভাবেই অনেকের অটো বাজেয়াপ্ত করছে এই ধরনের বেসরকারি ফিনান্স সংস্থা।
শহরে সক্রিয় অটো জালিয়াতি চক্র
জানা যাচ্ছে, শহরের অনেকেই দালালের থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড অটো কিনে বিভিন্ন রুটে গাড়ি চালাচ্ছেন অনেকেই। মহেশতলাতেও এভাবে অনেকেই অটো কিনছেন। তবে কয়েকদিন অটো চালানোর পর কোনও একটি ফিনান্স সংস্থা এসে অটো তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, এই গাড়ি দেখিয়ে লোন নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা না মেটানোয় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে অটোগুলি। গত ১৭ মার্চের মধ্যেই ৫ ব্যক্তি এই একই ধরনের অভিযোগ জানিয়েছে থানায়।
লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ায় বাজেয়াপ্ত অটো
পুলিশসূত্রের খবর, প্রথমে নতুন যে অটোর মালিক হচ্ছেন সে দালালের কাছে রুট পারমিট, নাম হস্তান্তরের জন্য যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত নথিপত্রও দিচ্ছেন। এরপর দালাল কোনও না কোনও অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে। তারমধ্যেই ফিনান্সের লোজজনেরা এসে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাচ্ছে অটো। এমনকী ফিনান্স সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা ভারত সরকারের এম পরিবহণ অ্যাপ খুলে দেখিয়ে দিচ্ছে ওই অটো দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লোন নেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতার অভিযুক্তরা
এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মহেশতলা থেকে দুই দালাল। ঠাকুরপুকুর থেকে এক ব্যক্তি, যিনি সই নকল, জাল নথিপত্র জোগাড় করতেন এবং এক ফিনান্স সংস্থার কর্মীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের অনুমান, এই চক্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও বিস্তৃত করেছে।