কলকাতা, ৯ এপ্রিল: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন (Lockdown) চলছে। ১৪ এপ্রিলের পরেও লকডাউন বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের থেকে একপ্রকার তা প্রায় নিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন দীর্ঘায়িত হলেও যাতে অর্থনীতি ও বাণিজ্যের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে আগামী রূপরেখা স্থির করতে বৃহস্পতিবার আজ বিকেলে রাজ্যের বিভিন্ন বণিকসভা, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প এবং হোটেল, পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি(Mamata Banerjee)।
লকডাউন চললেও ব্যবসায় ছাড় পেয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। চলতি সপ্তাহেই ফুলবাজার ও বিড়িশ্রমিকদেরও ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লকডাউন পরিস্থিতির মোকাবিলায় বুধবারই তিনটি টাস্ট ফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে রেস্ট্রিকশন অ্যান্ড রিলাক্সেশন টাস্ক ফোর্স, সংস্কার ও অর্থনৈতিক বিষয়ে ভাবনাচিন্তার জন্য অর্থসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বেও একটি এনফোর্সমেন্ট টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Coronavirus Lockdown: ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়াল ওড়িশা সরকার
বুধবার মমতা ব্যানার্জি বলেন, "লকডাউন চলায় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত যাঁদের দৈনিক ভিত্তিতে আয় হয়। অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। লকডাউন হলেও মনে রাখতে হবে আমরা যেন মানবিক ভাবেও দেখি। সাধারণ মানুষকে যাতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। কোনও অশান্তি না হয়। মানুষকেও নিয়ম যেমন মানতে হবে। তেমনই কড়াকড়ি করব, তবে বাড়াবাড়ি যেন না হয়।"
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১, মৃতের সংখ্যা ৫। আরও ২ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এই মূহূর্তে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬। তাঁদের মধ্যে তিন জন বুধবারই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। আরও ২ জনের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। অর্থাত্ ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন।