কটক, ৯ এপ্রিল: দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ওড়িশায় (Odisha) জারি থাকবে লকডাউন ( lockdown)। তবে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ১৭ জুন পর্যন্ত। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Odisha CM Naveen Patnaik) কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছেন যাতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেন ও বিমান চলাচল শুরু করা না হয়।
এদিকে গতকালই প্রধানমন্ত্রী সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে তিনি লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে মত দেন। তিনি জানান, ১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন (Lockdown) তোলা সম্ভব নয়। আগামী শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মোকাবিলায় বুধবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্স সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, শিব সেনার সঞ্জয় রাউত, বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্র, সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদবসহ অনেকেই। আলোচনায় অংশ নেন তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন: Coronavirus Cases in India: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭৩৪, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ৫৪০ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪০। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। সবমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের (Coronavirus) সংখ্যা পৌঁছালো ৫ হাজার ৭৩৪-এ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, মোট আক্রান্তের মধ্যে ৫ হাজার ৯৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও পর্যন্ত ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের মরদেহ স্থানান্তরিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুস্থ হয়ে ওঠায় ৪৭৩ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২১ দিনের লকডাউনে তিন নম্বর সপ্তাহে রয়েছে ভারত। গত ২৪ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তথ্যানুসারে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনায় জর্জরিত মাহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৮।
বুধবার বিকেল পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত ৬৯০ জন। দিল্লিতে ৫৭৬ জন। কেরালায় ৩৩৬ জন। তেলেঙ্গানায় ৪২৭ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৩০৫ জন। মধ্যপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২২৯। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৩৪৩ এবং রাজস্থানে সংখ্যাটা ৩২৮।