কলকাতা, ৯ আগস্ট: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে৷ সোমবার এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন তৃণমূল কর্মী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহাকে দেখতে গিয়ে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ গতকালইবিশেষ বিমানে ত্রিপুরা থেকে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে কলকাতায় ফিরছেন দলের সর্ববারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে৷ এদিন আহতদের দেখতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেন, “যেভাবে মারধর করা হয়েছে, পাথর মারা হয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর। পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। ওদের মারা হয়েছে। বিজেপি একটা দানবীয় দল ত্রিপুরা চালাচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচনে আমরাই ত্রিপুরায় জিতব৷” আরও পড়ুন-Covishield Doses Unavailability In Kolkata: টিকার আকাল, মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় মিলবে না কোভিশিল্ড
ত্রিপুরা পুলিশকেও তুলোধনা করে মমতার অভিযোগ, “ওরাই আমাদের প্রতিনিধিদের মারে, তারপর গ্রেপ্তার করে। ত্রিপুরাতে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে। জয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওকে মারা হয়েছে। দেবাংশুকে আক্রমণ করা হয়েছে। তারপর তাদের ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় রাখা হয়েছে৷ উপরন্তু পানীয় জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।” অভিষেকের গাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ডানেন মমতা৷ জানান, “বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছিল। তাই বেঁচে গেছে। নইলে গাড়ি চুরমার হয়ে যেত। শুধু তাই নয়, অভিষেকের সিটের পাশে ৫ জন গুন্ডার জন্য আসন বুক করেছিল বিজেপি। অভিষেকের পদে পদে জীবন সংশয় ছিল। এতকিছু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়।”
West Bengal CM Mamata Banerjee visits SSKM Hospital in Kolkata to meet TMC workers who were injured in Tripura yesterday. pic.twitter.com/en1O0Xs9ZO
— ANI (@ANI) August 9, 2021
বিজপি শাসিত ত্রিপুরায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন৷ ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর সেখানকার দায়িত্ব পেয়েছেন৷ তাঁর আইপ্যাক টিমকে কিছুতেই আগরতলায় কাজ করতে দিতে নারাজ ত্রিপুরার সরকার৷ মুখে সেসব কিছু না বললেও কাজে করে দেখাচ্ছে৷ কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে গোটা টিমকে গহোটেলে নজরবন্দি করে রেখেছে৷ এর বিরোধিতায় নেমেছে ত্রিপুরোর বিরোধীদলগুলি৷ কলকাতা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব গিয়েও পরিস্থিতির সামাল দিতে পারেনি৷ বরং বিরোধিতার মুখে পড়েছে৷