Jagdeep Dhankhar. Photo Source: ANI/Twitter

কলকাতা, ১০ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা চলছে। বিজেপির রাজ্যসভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে হামলার পরেই টুইট ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দু’দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। গতকাল কলকাতায় ভবানীপুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় রাজনৈতিক সমাবেশ করেন তিনি। দিন বদলের ডাক দেন সেই সভা থেকে। আজ বেছে নিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারকে। তবে সকালবেলা যাওয়ার পথেই বেশ কয়েকবার বাধার মুখে পড়েজেপি নাড্ডার কনভয়। গাড়ি লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তা নিয়ে হইচই পড়েছে গেরুয়া শিবিরে। জেপি নাড্ডার কনভয়ে ইট পড়বে আর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় চুপ করে থাকবেন, তাতো হওয়ার নয়। আরও পড়ুন-West Bengal: করোনার কাঁটা, এবার কমল একাদশ শ্রেণির সিলেবাস

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে গোটা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন টুইটে মমতার সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে অরজাকতা চলছে। আইনের শাসন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শাসক দলের হার্মাদ ও রাজনৈতিক পুলিশ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালানো হল। চলল ইটবৃষ্টি। এর নেপথ্যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। এমন ঘটনার নিন্দা করছি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে এ আমার কাছে চরম লজ্জার।”

এদিকে হামলা চললেও জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান জেপি নাড্ডা। তাই তাঁর বুলেটপ্রুফ গাড়ির কোনও ক্ষতিই হয়নি। তিনিও নিরাপদে রয়েছেন। অন্যদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাহুল সিনহার গাড়ির কাচ ভেঙেছে ইটের ঘায়ে। ভাঙচুর চলেছে সংবাদ মাধ্যমের গাড়িতেও। জনরোষ থেকে রেহাই পায়নি একটি বেসরকারি বাস। হামলার খবর পেয়েই নিরাপত্তায়গাফিলতির অভিয়োগ এনে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার সফরের সময় নিরাপত্তার গাফিলতি হয়েছে। গতকালও তাঁর ইভেন্টের জায়গায় কোনও পুলিশ ছিল না। আমি গোটা ব্যাপারটি অমিত শাহ ও এখানকার প্রশাসনকে চিঠি লিখে জানিয়েছি।”

এদিকে উত্তেজনা বিক্ষোভ পেরিয়ে ডায়মন্ড হারবারে প্রবেশ করেই জেপি নাড্ডা বললেন, মা দুর্গার কৃপায় ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছেছি। তৃণমূলের ক্যাডাররা আটকানোর কোনও চেষ্টা বাদ দেয়নি। বাংলায় এই গুন্ডারাজের পতন অনিবার্য।